কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল। —ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটের পর থেকে জঙ্গি হামলার বিরাম নেই জম্মু ও কাশ্মীরে। এ বার সন্ত্রাসের নিশানা হল গ্রামরক্ষী বাহিনী (ভিলেজ ডিফেন্স ফোর্স বা ভিডিএফ)। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কিস্তওয়ার জেলায় দুই ভিডিএফ সদস্যকে অপহরণ করে খুন করল তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওহলি-কুন্তওয়ারা গ্রামের ওই দুই বাসিন্দার নাম নাজির আহমেদ ও কুলদীপ কুমার। পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের ‘ছায়া সংগঠন’ কাশ্মীর টাইগার্স খুনের দায় স্বীকার করেছে। নিহত দুই ভিডিএফ সদস্যের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত কারও দেহের সন্ধান মেলেনি।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জঙ্গি হানায় দুই ভিডিএফ সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘এই সন্ত্রাসের চক্র আমরা ধ্বংস করবই।’’ জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লা গত সপ্তাহে অভিযোগ করেছেন তাঁদের সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য ধারাবাহিক ভাবে জঙ্গি হামলা করানো হচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনা ঘটছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন সরকার এবং কেন্দ্রও। আখনুরে সেনার অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা হয়েছিল গত সোমবার। সম্প্রতি গুলমার্গেও সেনার গাড়িতে হামলা চলেছিল। তাতে দু’জন জওয়ান এবং বাহিনীর দুই মালবাহকের মৃত্যু হয়েছিল। সম্প্রতি সোনমার্গের কাছে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের উপরেও হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এক চিকিৎসক-সহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল ওই হামলায়। সোনমার্গের হামলার দায় স্বীকার করেছিল ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে এক জঙ্গি গোষ্ঠী। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রভাব রয়েছে এই নতুন জঙ্গি গোষ্ঠীতে। পর পর ঘটনাগুলি চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দাদের কপালেও।