ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
তিন দেশের উপরে চড়া হারে আমদানি শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করলেন আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমাজমাধ্যমে তাঁর ঘোষণা, আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিয়েই ওই তিন দেশ থেকে আমেরিকায় ঢোকা সব পণ্যের উপরে আমদানি শুল্ক বসাতে চান তিনি। এই তিন দেশের তালিকায় চিন ছাড়াও রয়েছে কানাডা এবং মেক্সিকো। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তালিকায় নাম নেই ভারতের।
সোমবার সমাজমাধ্যমে ট্রাম্পের পোস্ট, ‘‘২০ জানুয়ারি প্রথম যে নির্দেশগুলি দেব, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমেরিকায় আসা সব পণ্যে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপানো হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় সব নথিতেও স্বাক্ষর করব।” ভারতের পড়শি দেশ চিনকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্যে সর্বোচ্চ শুল্কের পরিমাণ ৩৫ শতাংশও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, চিনে তৈরি বহু অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় ঢুকলেও বেজিং কোনও পদক্ষেপ করেনি। চিন যত দিন না এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, তত দিন পর্যন্ত চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানো হবে বলে জানান ট্রাম্প।
শুল্ক চাপানোর কথা জানানোর পাশাপাশি মেক্সিকো এবং কানাডার সঙ্গে আমেরিকার ‘মুক্ত সীমান্ত’ এবং অনুপ্রবেশ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরে কানাডার তরফে পাল্টা কিছু বলা না-হলেও মেক্সিকোর তরফে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আমেরিকার অন্যতম বড় বাণিজ্যসঙ্গী তারাই। অন্য দিকে, চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, “চিন দুই দেশের মধ্যে নিবিড় অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কে আস্থা রাখে। শুল্ক-যুদ্ধে আসলে কোনও পক্ষই জয়ী হবে না।” প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতিকে তুলে ধরতে আমেরিকায় আমদানি করা কমবেশি সব পণ্যেই ১০ থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। আমদানিকৃত গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কের পরিমাণ ২০০ শতাংশ হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।