ত্রিপুরায় এ বারেও পদ্ম ফোটার কারণ ব্যাখ্যা করলেন মানিক সরকার। ফাইল চিত্র।
কম ভোট পেয়েও বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরার ভোটের ফলাফলকে এ ভাবেই ব্যাখ্যা করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিজেপির এই ‘অভাবনীয়’ সাফল্যের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন মানিক। তাঁর মতে বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার কারণেই ত্রিপুরায় দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে পেরেছে বিজেপি। বিজেপির শাসনে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লুট হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ধনপুরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক।
২০১৮ সালে দীর্ঘ বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরায় প্রথম বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। বিজেপি শাসনে রাজ্যে গণতন্ত্র হরণ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে সরব হয়েছিল বামেরা। এই নির্বাচনে বিজেপিকে রুখতে জোট বেঁধেছিল একদা যুযুধান বাম এবং কংগ্রেস। যদিও ভোট শতাংশ এবং আসন কমলেও আগরতলার কুর্সি অনায়াসেই দখল করেছে পদ্ম শিবির। ৬০ আসনের বিধানসভায় ৩২টি আসন পেয়েছে তারা। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে বামেরা পেয়েছে ১১টি আসন। হাত শিবিরের অনুকূলে গিয়েছে মাত্র ৩টি আসন।
মানিকের অভিযোগ, রাজ্যে গণতন্ত্র ‘আক্রান্ত’। তবে বামেদের ব্যর্থতার মধ্যেও আশার আলো দেখছেন মানিক। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির সন্ত্রাস সত্ত্বেও ৬০ শতাংশ মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও বিজেপির সাফল্যের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি দাবি করেন, বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হয়েছে। তবে তার জন্য নির্দিষ্ট কোনও দলের নাম নিতে চাননি তিনি। তবে মানিক নাম না করলেও অনেকেই মনে করছেন, তিপ্রা মথাকেই এর জন্য দুষছে বামেরা। ত্রিপুরার এই নতুন দলটি প্রথম বার ভোটে লড়তে নেমেই ১৩টি আসন জিতে প্রধান বিরোধী দলের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে। বেশ কিছু আসনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, তিপ্রা মথা প্রার্থীর ভোট বাম-কংগ্রেস জোট শিবিরের অনুকূলে গেলে বিজেপি প্রার্থীরা বিপুল ভোটে পরাজিত হতেন।
(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় অনবধানবশত লেখা হয়েছিল, মানিক সরকার ত্রিপুরা নির্বাচনের ফলাফলকে 'অভিশাপ' বলে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংস্থার তরফে পরে জানানো হয়, তিনি এমন কিছু বলতে চাননি। অজান্তেই কোথাও তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা সূত্রে পাওয়া এই খবরে আমাদের তরফেও একই ত্রুটি রয়ে যায়। আমরা তা সংশোধন করে নিলাম। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী)