Tripura

Tripura: বিজেপি-র ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাস বাড়ছে, ত্রিপুরায় সায়নীকে গ্রেফতারের কড়া নিন্দা সিপিএমের

রবিবার সকাল থেকেই আগরতলা পূর্ব থানায় ছিলেন সায়নী ঘোষ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেল নাগাদ খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
আগরতলা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২১ ০১:৪৭
রবিবারই ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছে।

রবিবারই ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছে।

রবিবার ত্রিপুরায় বাংলার তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের কড়া সমালোচনা করল ত্রিপুরা সিপিএম। রবিবারই ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছে।

ত্রিপুরা সিপিএমের বার্তা সম্পাদক রাখাল মজুমদার প্রেস বিবৃতিতে লেখেন, ‘রাজ্যে পুরসংস্থাগুলির নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, তত বেশি শাসক বিজেপি দলের ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাস বাড়ছে।’

রবিবার সকাল থেকে আগরতলা পূর্ব থানায় ছিলেন সায়নী। তাঁকে আটক করে চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ। এর পর বিকেল নাগাদ খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সহকর্মীর পাশে থাকতে তখন থানাতেই ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব-সহ প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও বাংলায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই সময় থানা ঘিরে তাণ্ডব চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ওই হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন একাধিক তৃণমূল কর্মী এবং নেতা।

Advertisement

তৃণমূলের এই অভিযোগকে সমর্থন করে ত্রিপুরা সিপিএমের প্রেস বিবৃতিতে লেখা হয়, ‘থানার ভিতর জিজ্ঞাসাবাদ চলার সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা থানা চত্বরে ঢুকে গিয়ে তাদেরকে (তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের) আক্রমণ করে এবং ভাঙচুর করে।’

শেষে লেখা হয়, ‘সিপিএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে।’

রাজ্য সিপিএমের উপরেও বিজেপি হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় প্রেস বিবৃতিতে। রাখাল লিখেছেন, ‘...বামপন্থী-সহ সমস্ত বিরোধী প্রার্থীরা এবং দলের নেতারা আক্রান্ত হচ্ছেন। নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করার পরেও পুলিশ কোনও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করছে না। পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।’

রবিবার সন্ধ্যায় আগরতলা পূর্ব থানায় অশান্তির ঘটনায় তিন জন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে আগরতলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে। প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছে ত্রিপুরা ফটোজার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও। জানানো হয়, অশান্তি ঘটনায় আহত হয়েছেন ভেনগার্ডের চিত্র-সাংবাদিক মিল্টন ধর, হেডলাইনস ত্রিপুরার চিত্র-সাংবাদিক প্রশান্ত দে (মালু) ও টাইমস টুয়েন্টি ফোরের চিত্র-সাংবাদিক বপন দাস।

গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ‘দুষ্কৃতীদের’ গ্রেফতার করার দাবি জানানো হয়েছে আগরতলা প্রেসক্লাব ও ত্রিপুরা ফটোজার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেস বিবৃতিতে।

Advertisement
আরও পড়ুন