রেবতীমোহন দাস। ছবি: সংগৃহীত।
ইস্তফা দিলেন ত্রিপুরা বিধানসভা স্পিকার রেবতীমোহন দাস। বৃহস্পতিবার তিনি নিজেই এ কথা ঘোষণা করে বলেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত কারণেই আমি পদত্যাগ করেছি। ডেপুটি স্পিকার বিশ্ববন্ধু সেনের কাছে ইস্তফা দিয়েছি।’’
যদিও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে তাঁর এই ইস্তফায় ‘অন্য কারণ’ খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
প্রয়াত সিপিএম নেতা তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন রেবতী। ২০১৫ সালে অনিলের মৃত্যুর পর দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। ২০১৬ সালে রেবতী সিপিএম ছেড়ে পদ্ম-শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন।
রাজ্য বিজেপি-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, পরিষদীয় রীতিনীতি সম্পর্কে তেমন অভিজ্ঞতা না থাকায় কাজ চালাতে অসুবিধার মুখে পড়ছিলেন রেবতী। তাই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও সম্প্রতি ত্রিপুরার একাধিক বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে গোপনে তৃণমূল নেতৃত্বের বৈঠকের খবর সামনে আসায় রেবতীর ইস্তফা অন্য মাত্রা পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে তাঁর ‘সমীকরণ’ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।’’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার জিতেন সরকার সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।