গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ত্রিপুরায় পুরভোটে প্রচার করতে গিয়ে বিজেপি-র হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুললেন বাবুল সুপ্রিয়। শনিবার সন্ধ্যায় ধারাবাহিক টুইটে বাবুলের বক্তব্য, রাজধানী আগরতলার রামনগর এলাকায় তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে গেলে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়।
প্রথম টুইটে বাবুল লিখেছেন, ‘আগরতলায় হিংসাত্মক জনতার মুখে পড়েছিলাম। গাড়িতে পাথর ছোড়া হয়েছিল। কিন্তু গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে যেতেই কাপুরুষগুলো পালিয়ে যায়। লজ্জা এবং রসিকতার বিষয় হল, বিজেপি যে রাজনৈতিক হিংসার বিরুদ্ধে প্রচার চালায় ত্রিপুরাতে সেই পথই অনুসরণ করে।’
My car ws never safe cuz I always got down&confronted whenever I faced resistance•Remember, who won @BJP4India the ONLY seat in 2014 & wwon it back again in 2019?Who had the spine to desert your party (of backstabbers) & leave the MP seat MIDWAY?Let me c u how u win Asansol back https://t.co/JaCJ5GItSb
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) November 20, 2021
দ্বিতীয় টুইটে বাবুল তাঁর প্রাক্তন দল বিজেপি-র নেতাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন নিজের ‘অতীতের লড়াইয়ের’ কথা। লিখেছেন, ‘আমার গাড়ি কখনওই নিরাপদ নয়। বাধার মুখে পড়লেই আমি নেমে পড়ি এবং মোকাবিলা করি। মনে করুন কে জিতেছে। ২০১৪-য় একমাত্র আসন জয়। ২০১৯-এ ফের জেতা। কার শিরদাঁড়া আছে আপনাদের দলকে (যাঁরা পিঠে ছুরি মারেন) ছাড়ার? মাঝপথে সাংসদ পদ ছাড়ার? বলুন কী ভাবে আসানসোলে জিতবেন।’
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার পুরভোটে তৃণমূলের প্রচারে গিয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের কটাক্ষের নিশানা হয়েছেন বাবুল। তাঁর কয়েকটি সভার অদূরে তাঁরই গাওয়া একটি ‘তৃণমূল বিরোধী’ গান বাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল বিজেপি-তে থাকাকালীন ‘এই তৃণমূল আর না’ শিরোনামের ওই গানটি রেকর্ড করেছিলেন। শুক্রবার একটি সভায় বাবুল যখন যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষের উপস্থিতিতে বক্তৃতা করছিলেন, তখনও মাইক বাঁধা একটি ম্যাটাডর থেকে অদূরে ওই গানটি বাজানো হয়। ওই গান প্রসঙ্গে শনিবার বাবুলের ‘ব্যাখ্যা’, তা হলেই ‘বুঝুন যে ছেলে এই গান করেছিল, সেও বিজেপি-তে টিকতে পারল না।’’
ত্রিপুরার বিজেপি নেতা নব্যেন্দু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিক্ষোভ দেখাতেই পারেন যে কেউ। কিন্তু তৃণমূলের অনেকে এমন শব্দ ব্যবহার করেন, যা শব্দ-সন্ত্রাসের মধ্যে পড়ে।