Budget Session of Parliament

একা বাংলা নয়, তামিলনাড়ু ও কেরলও ‘বঞ্চিত’! ১০০ দিনের কাজের বকেয়া চেয়ে সংসদে একজোট বিরোধীরা

১০০ দিনের কাজে বকেয়া টাকা চেয়ে সংসদে ফের সরব হল তৃণমূল। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদেরা পাশে পেলেন এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ‘বঞ্চিত’ তামিলনাড়ু এবং কেরলের সাংসদদেরও।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৩:৫৫
১০০ দিনের কাজে বকেয়া চেয়ে বিক্ষোভে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে।

১০০ দিনের কাজে বকেয়া চেয়ে বিক্ষোভে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে। ছবি: পিটিআই।

১০০ দিনের কাজে বকেয়া টাকা চেয়ে সংসদে ফের সরব হল তৃণমূল। মঙ্গলবারের বিক্ষোভে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের সাংসদেরা পাশে পেলেন এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ‘বঞ্চিত’ আরও দুই রাজ্য তামিলনাড়ু এবং কেরলের সাংসদদেরও। বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভের জেরে মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন।

Advertisement

১০০ দিনের কাজে বকেয়া টাকা মিলছে না কেন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছিল তৃণমূল, ডিএমকে-র মতো দলগুলি। মঙ্গলবার সংসদে গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি বকেয়া অর্থ আটকে রাখার ব্যাখ্যা দেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হননি বিরোধী সাংসদেরা। লোকসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ডিএমকে এবং তৃণমূল সাংসদেরা। বিক্ষোভ দেখান কেরলের বাম এবং কংগ্রেসের সাংসদেরাও। স্পিকার ওম বিড়লা বিক্ষোভরত সাংসদদের নিজেদের আসনে বসার আর্জি জানালেও বিক্ষোভ চলতে থাকে। তার পরেই লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।

পরে এই বিষয়ে সংসদের মকরদ্বারের বাইরেও বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন দলের সাংসদেরা। এই প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, “যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি-বিরোধী সরকার রয়েছে, সে তামিলনাড়ু হোক বা পশ্চিমবঙ্গ, সেখানেই ১০০ দিনের কাজে টাকা আটকে রাখা হচ্ছে। বলছে ২৫ লক্ষ কার্ড ভুয়ো রয়েছে। আমরা কেন্দ্রকে বলছি, তা হলে তোমরা ব্যবস্থা নাও। কিন্তু যোগ্যদের টাকা আটকে রেখো না। তিন বছর ধরে একই কথা বলে যাচ্ছে।” কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ‘বাংলা ও বাঙালি বিরোধী’ বলেও তোপ দাগেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ।

Advertisement
আরও পড়ুন