দিল্লি ঢাকল ঘন কুয়াশায়। ছবি: পিটিআই।
ধোঁয়াশার পুরু চাদরে ঢেকেছে দিল্লি। শুধু রাজধানী নয়, তার সংলগ্ন এলাকা এবং বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের ছবি একই। রবিবার সকালে রাজধানীর বাতাসের গুণমান ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে রয়েছে। তবে সে দিক থেকে মুম্বইয়ের বাতাসের গুণমান কিছুটা হলেও ভাল। ‘সন্তোষজনক’ না হলেও বাণিজ্যনগরীর বাতাসের গুণমান ‘সামান্য খারাপ’ পর্যায়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ভোরে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ঠেকেছে ৩৮৬-তে। সেখানে মুম্বইয়ের বাতাসের গুণমান সূচক রয়েছে ১৭৬-এ!
সিপিসিবি তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মানের সূচক যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে তা হলে তা ‘ভাল’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ১০১-২০০ সামান্য খারাপ, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ খুব খারাপ, ৪০১-৫০০ অতি ভয়ানক।
গত সপ্তাহ থেকেই দিল্লিতে আবার গ্রাস করেছে দূষণ প্রকোপ। কখনও ‘ভয়ানক’, কখনও আবার ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে থাকছে বাতাসের গুণমান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দূষণ মোকাবিলায় রাজধানীতে বলবৎ করা হয়েছে সর্বোচ্চ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি। দিল্লিতে জারি রয়েছে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৪ (জিআরএপি ৪)। নিয়মবিধির আওতায়, দিল্লির সব স্কুলের পঠনপাঠন অনলাইনে চলছে। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে যান চলাচলের উপরও। বিএস ৩-এর নীচে থাকা পেট্রল গাড়ি এবং বিএস ৪-এর নীচে থাকা ডিজ়েল গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নয়, এমন সব নির্মাণকাজ কিংবা কোনও ভাঙার কাজ বন্ধ। তবে জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কিছু সরকারি পরিকাঠামো সংক্রান্ত নির্মাণকাজকে এই কড়াকড়ির আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে। দিল্লির বাতাসের গুণমানের কারণে দৃশ্যমানতা কমেছে। সামান্য দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছে না। বিমান চলাচল সচল থাকলেও দৃশ্যমানতার অভাবে বিমান চলাচলে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন পাইলটেরা।
অন্য দিকে, মুম্বই কাবু ডিসেম্বরের শীতে। গত ১০ বছরে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়েছে এ বছরই, এমন দাবি আবহাওয়াবিদদের। সেই সঙ্গে বাতাসের গুণমানও ‘খারাপ’ পর্যায়ে রয়েছে গত কয়েক দিন ধরে। চারপাশ ঢেকে থাকছে ধোঁয়াশার চাদরে।