NITI Aayog

নীতি আয়োগ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব খারিজ শীর্ষকর্তাদের

নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ তৈরি করেছিলেন। যোজনা কমিশনের কাছে প্রতিটি রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি বাড়তি কিছু অর্থ বরাদ্দ করার ক্ষমতা ছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৭:১৬
নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার।

নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার। ছবিঃ পিটিআই।

নীতি আয়োগ তুলে দিয়ে যোজনা কমিশন ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নীতি আয়োগের শীর্ষকর্তারা এককাট্টা হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি খারিজ করে দিলেন। তাঁদের মতে, শুধু সরকারি অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ হয়, এই বিশ্বাস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দাবি তুলেছেন। বাস্তবে উন্নয়নের কাজ হয় বেসরকারি শিল্পকে চাঙ্গা করার মতো নীতির মাধ্যমে।

Advertisement

নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ তৈরি করেছিলেন। যোজনা কমিশনের কাছে প্রতিটি রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি বাড়তি কিছু অর্থ বরাদ্দ করার ক্ষমতা ছিল। কিন্তু নীতি আয়োগের কাজ, মূলত দীর্ঘমেয়াদি নীতি তৈরি করা। শনিবার নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী দাবি তুলেছিলেন, এই নীতি আয়োগকে বন্ধ করে দেওয়া হোক। এর কোনও ক্ষমতাই নেই। যোজনা কমিশনকে ফিরিয়ে আনা হোক।

আজ নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ সুমন বেরি বলেন, “শুধু সরকারি অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ হয়, এই বিশ্বাস থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যোজনা কমিশন ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন। বাস্তবে, উন্নয়নের কাজ হয় নীতির ভিত্তিতে। কী ভাবে বেসরকারি শিল্পকে চাঙ্গা করা হচ্ছে, তার ভিত্তিতে। সেখানে সরকারি অর্থ বরাদ্দটা কেকের উপরে আইসিংয়ের মতো। সেটাই কেক নয়।” বেরির যুক্তি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যোজনা কমিশন তুলে দেওয়ার পিছনে ভাবনা ছিল, আর্থিক উদারিকরণের ৩০ বছর পরে আর সোভিয়েত জমানার মতো পরিকল্পনা তৈরি হতে পারে না

মমতা এর আগেও নীতি আয়োগ তুলে দিয়ে যোজনা কমিশন ফেরানোর কথা বলেছিলেন। স্বাধীনতার শতবর্ষ ২০৪৭-এ নরেন্দ্র মোদীর ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্য পূরণের জন্য ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নীতি আয়োগকেই। তা নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকের আগে মমতার নীতি আয়োগই তুলে দেওয়ার দাবি নতুন মাত্রা পেয়েছিল।

নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম আজ বলেন, ‘‘আমরা বিকশিত ভারতের মূল নথির মতো অনেক রাজ্যের উন্নয়নের জন্য নথি তৈরি করেছি। নীতি আয়োগের কাজ শুধু টাকা বিলি নয়। তার জন্য অর্থ মন্ত্রক রয়েছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদি নীতি তৈরি করছি। সরকারের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছি। অনেক রাজ্য সরকারের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছি।”

নীতি আয়োগের সদস্য ভি আর সারস্বত যুক্তি দিয়েছেন, অনেক রাজ্যই নীতি আয়োগের মতো প্রতিষ্ঠান তৈরি করছেন। আর এক সদস্য অরবিন্দ ভিরমানি বলেন, ‘‘রাজ্যগুলির জন্য কেন্দ্রীয় করের ভাগ ৩২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪১ শতাংশ করা হয়েছে। রাজ্যগুলো সরাসরি সেই টাকা পেয়ে যাচ্ছে। যোজনা কমিশন থাকলে সেটা হত না।

আরও পড়ুন
Advertisement