One Nation One Election

এক ভোট: যৌথ সংসদীয় কমিটির মেয়াদ বাড়ল

কমিটির বৈঠকে নিজেদের বক্তব্য রাখতে উপস্থিত হন দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি এবং দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ০৭:৪৪
‘এক দেশ এক ভোট সংক্রান্ত’ যৌথ সংসদীয় কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি হল লোকসভায়।

‘এক দেশ এক ভোট সংক্রান্ত’ যৌথ সংসদীয় কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি হল লোকসভায়। —ফাইল চিত্র।

আরও বিশদে আলোচনার প্রয়োজন। তাই আজ ‘এক দেশ এক ভোট সংক্রান্ত’ যৌথ সংসদীয় কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি হল লোকসভায়। আগামী বাদল অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিনের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে কমিটিকে।

Advertisement

আজ কমিটির বৈঠকে নিজেদের বক্তব্য রাখতে উপস্থিত হন দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি এবং দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেল। সূত্রের মতে, আজ বৈঠকে বেঙ্কটরামানি দাবি করেন, একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার ভোট সংবিধান লঙ্ঘন করছে না। কোনও সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই বলে দাবি করেন তিনি। ঠিক উল্টো মত পোষণ করে ডি এন পটেল জানান, ওই আইন বাস্তবায়িত করতে হলে অন্তত আটটি সংবিধান সংশোধনী আনার প্রয়োজন। তিনি ওই আইনকে স্বাগত জানালেও, এর প্রয়োগ হলে রাজ্যগুলির ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সূত্রের মতে, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলেন, সরকার যখন বিলে কোনও সংশোধনী বা পরিবর্তনের কথা বলছে না তখন ওই বিল নিয়ে আলোচনা অর্থহীন। জবাবে পটেল জানান, তিনি বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন কেবল। সূত্রের মতে, কল্যাণ বলেন, সরকারের কাছে সংবিধান সংশোধন করার মতো সংখ্যা নেই। তা হলে আলোচনা করার অর্থ কী! সূত্রের মতে, বৈঠকে পটেল জানান, লোকসভার সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন করতে গেলে বেশ কিছু বিধানসভার মেয়াদ বাড়াতে বা কমাতে হবে, সে বিষয়ে বর্তমান বিলে বিশদে কিছু বলা নেই।

সূত্রের মতে, বৈঠকে পটেল ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি মেনে চলা বেলজিয়াম-সুইডেনের মতো ইউরোপের কিছু দেশের উদাহরণ তুলে ধরেন। সুইডেনের মতো ক্ষুদ্র দেশের সঙ্গে ভারতের মতো বিশাল দেশের তুলনা টানা কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিটি সদস্য কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। তাঁর দাবি, এক সঙ্গে ভোট হলে লাভ হবে
বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা গোটাটাই অনুমান। ওই দাবির পিছনে কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।

Advertisement
আরও পড়ুন