K Suresh

ডেপুটি স্পিকার সুরেশকে চেয়ে ঝাঁপাবে ‘ইন্ডিয়া’, এই লড়াইকে মোদী-বিরোধী রাজনীতির অঙ্গ করার প্রস্তুতি

আট বারের সাংসদ সুরেশকে প্রোটেম স্পিকারের পদপ্রার্থী করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। তা নিয়ে শাসক দলের সঙ্গে সংঘাত হয়। তার পরেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে ডেপুটি স্পিকার পদের প্রার্থী সুরেশকেই করেছে কংগ্রেস।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ০৫:৫৪
কেরলের সাংসদ কোড়িকুন্নিল সুরেশ।

কেরলের সাংসদ কোড়িকুন্নিল সুরেশ। ছবিঃ পিটিআই।

স্পিকার নির্বাচনের যুদ্ধ শেষ। এ বার বিরোধী ইন্ডিয়া শিবির ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ল ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচনের দাবি নিয়ে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তারা এই পদে সম্প্রতি বহু আলোচিত কেরলের সাংসদ কোড়িকুন্নিল সুরেশ অর্থাৎ কে সুরেশকেই প্রার্থী করবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আট বারের সাংসদ সুরেশকে প্রাথমিক ভাবে প্রোটেম স্পিকারের পদপ্রার্থী করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। তা নিয়ে শাসক দলের সঙ্গে সংঘাত হয়। তার পরেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে ডেপুটি স্পিকার পদের প্রার্থী সুরেশকেই করেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, তারা ডেপুটি স্পিকার প্রার্থী বাছা এবং এ ক্ষেত্রে বিরোধী ঐক্য তৈরি করার ক্ষেত্রে কাঠবেড়ালির ভূমিকা (সূত্রধর) পালন করবে, নিজেরা প্রার্থী দেবে না। তবে বিষয়টি নিয়ে স্পিকারের উপর চাপ বহাল রাখবে।

গত পাঁচ বছরে অর্থাৎ সপ্তদশ লোকসভায় ডেপুটি স্পিকার পদ শূন্যই রেখেছিল মোদী সরকার। এই নিয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু সংখ্যার দাপটে কর্ণপাত করেনি কেন্দ্র। বিরোধীদের বক্তব্য, রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে গিয়েছে চব্বিশের ভোটের পর। এখন নিয়মিত ভাবে স্পিকারের উপর চাপ দিয়ে যাওয়া হবে। সংসদের প্রথা অনুসারে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের দিন ক্ষণ স্থির করেন স্পিকার। ফলে তিনি যত ক্ষণ না এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করবেন, বিষয়টি ঝুলেই থাকবে। এই লড়াইটাকে তাই মোদী-বিরোধী রাজনীতির অঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়া শিবির। কংগ্রেস এবং তৃণমূল উভয়ের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে, এই নিয়ে আলোচনা নিজেদের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধী জোটের বড় দলগুলির নেতারা এক দফা কথা বলেছেন। জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই এই নিয়ে ইন্ডিয়ার তরফে যৌথ চিঠি দেওয়া হবে স্পিকারকে।

আজ সংসদীয় চত্বরে কিছুটা নাটকীয় ভাবে সংবিধান খুলে নির্দিষ্ট ধারা দেখিয়ে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করতেই হবে। এটি সাংবিধানিক পদ। গত পাঁচ বছর এই পদ শূন্য রেখে সংবিধানের অমর্যাদা হয়েছে। সংবিধানের ৯৩ ধারা বলছে, লোকসভা গঠিত হলে যত দ্রুত সম্ভব স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হবে। খালি পদ পূর্ণ করতে হবে।’’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং কিরেন রিজেজু স্পিকার পদে ওম বিড়লাকে সমর্থনের জন্য যখন বিরোধীদের সঙ্গে যোগযোগ করেন, তখন তাঁরা স্পষ্ট করেননি ডেপুটি স্পিকার নিয়ে দাবি মানা হবে কি না। বেশ কিছু বিরোধী নেতা জানান, তাঁদের বলা হয়েছে এই পদটি নিয়ে পরে পৃথক ভাবে আলোচনা করা হবে। কবে করা হবে, সে ব্যাপারে কোনও কথা দেওয়া হয়নি। উদ্ধবপন্থী শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ন্তের কথায়, ‘‘সরকার এখনও ডেপুটি স্পিকার নিয়ে তাদের অবস্থান আমাদের জানায়নি।’’ আজ এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি লোকসভায় আলোচনা চলার সময় ওম বিড়লাকে বলেছেন, ‘‘সরকার ডেপুটি নিয়োগ করে আপনার বোঝা কমাক।’’ পাশাপাশি আপ সাংসদ গুরমীত সিংহও স্পিকারকে বলেছেন, ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করা হোক। তাতে দৃশ্যতই কিছুটা রাগত ভাবে স্পিকারকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘কখন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন হয়, আগে সেই নিয়ম পড়ে আসুন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement