Ayodhya Ram Mandir

রামমন্দির নিয়ে দেশ জুড়ে উন্মাদনার মধ্যেই এ বার হলুদ চালে ৬০ দেশে পৌঁছে গেল রাম-বার্তা!

দেশ জুড়ে অখণ্ড হলুদ চাল ও আমন্ত্রণপত্র নিয়ে পাঁচ লক্ষ গ্রাম ও ১২ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মন্দিরের ‘রেপ্লিকা’ নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাবেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:০৭
ayodhya ram temple.

অযোধ্যার নির্মিয়মান রাম মন্দির। ছবি: পিটিআই।

রাম মন্দির নিয়ে ভারতজুড়ে উন্মাদনা তো রয়েইছে। এ বার বিদেশেও পৌঁছে গেল সেই বার্তা। সূত্রের দাবি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও হিন্দু স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের উদ্যোগে রাম-বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অন্তত ৬০ দেশে। আফ্রিকার ১৮, ইউরোপের ২০, আমেরিকার ১১ দেশের পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়া-সহ বাকি এশিয়াতেও প্রচার হবে রামমন্দির উদ্বোধন নিয়ে।

Advertisement

দেশ জুড়ে ‘অক্ষত’ অর্থাৎ অখণ্ড হলুদ চাল ও আমন্ত্রণপত্র নিয়ে পাঁচ লক্ষ গ্রাম ও ১২ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। রামের ছবি, মন্দিরের ‘রেপ্লিকা’ নিয়ে তিন-চার জন স্বেচ্ছাসেবক ১-১৫ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি যাবেন। আমন্ত্রণপত্রের এক পিঠে যেমন থাকবে রামমন্দির ট্রাস্টের তরফে আমন্ত্রণের অনুরোধ, উল্টো পিঠে থাকবে মন্দিরের বর্ণনা।

বিদেশের মাটিতেও হলুদ চালের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়বে রাম-বার্তা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে আফ্রিকার দক্ষিণ আফ্রিকা, জ়িম্বাবোয়ে, ঘানা, তাঞ্জানিয়া, মরিশাস-সহ ১৮ দেশ, ইংল্যান্ড, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, সুইৎজ়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ-সহ ২০ দেশ, আমেরিকা, মেক্সিকো, কানাডা, ত্রিনিদাদ, জামাইকা, কলম্বিয়া-সহ ৯ দেশে ইতিমধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে হলুদ চাল। এ ছাড়া ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনায়ও যাওয়ার চেষ্টা রয়েছে উদ্যোক্তাদের। মধ্যপ্রাচ্যে বাহরিন, আরব আমিরশাহি-সহ বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে তালিকায়। এ ছাড়াও বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিজি, অস্ট্রেলিয়ার মতো একাধিক দেশে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে আমন্ত্রণপত্র ও হলুদ চাল। মূলত সেই দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের মধ্যে এই জিনিসগুলো বিলি করা হবে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এই গুলি আগাম কর্মসূচি। রামমন্দির উদ্বোধনের দিন ওই দেশগুলিতে মানুষ একত্রিত হয়ে এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে উদ্বোধনের অনুষ্ঠান দেখবেন। সেই সঙ্গে মন্দিরে পুজো-পার্বণও হবে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথা বিদেশ বিভাগের প্রধান স্বামী বিজ্ঞানানন্দ বলেন, “রামমন্দির নিয়ে বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের মধ্যেও একই রকম উন্মাদনা রয়েছে। আমরা সেই উন্মাদনাকে সম্মান দিতেই বিদেশেও বিভিন্ন প্রচারের উপকরণ
পৌঁছে দিয়েছি। তাঁরাও রামমন্দির নিয়ে একই রকম প্রচার করবেন। সকলে একত্রিত হয়ে ওই দিনটি উদযাপন করবেন।”

রাম মন্দিরের আবেগ যে এক তরফা হিন্দুত্বের আবেগ নয়, তা বোঝাতে দলের সংখ্যালঘু মোর্চাকে কাজে লাগাতে চায় বিজেপি। দেশজুড়ে রামমন্দির প্রচারে সকলের অংশগ্রহণ চাইছে সঙ্ঘ-সহ সমমনোভাবাপন্ন সংগঠনগুলি। সঙ্ঘের দক্ষিণ বঙ্গ প্রান্ত প্রচারক বিপ্লব রায় বলেন, “ধর্ম, উপাসনা যার যার, রাম সবার। রাম মন্দির উদ্বোধন মানে শুধু মন্দির উদ্বোধন নয়, রাম রাজ্যের সূচনা। যার অর্থ সমানাধিকার, সুশাসন।” বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি চার্লস নন্দী নিজে রাম মন্দির পুনঃনির্মাণের কাজে অর্থ সংগ্রহ অভিযানে নেমেছিলেন। তাঁর দাবি, “জাতীয়তাবাদী মুসলিম ও সংখ্যালঘু অন্যান্য সম্প্রদায়ের রামমন্দির নির্মাণের কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। গীতা পাঠের দিনও অনেকেই ছিলেন।”

Advertisement
আরও পড়ুন