Madrasas

মাদ্রাসার জন্য অর্থ সাহায্য বন্ধ হোক! রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিল জাতীয় শিশু কমিশন, অভিযোগ কী?

সম্প্রতি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। তাতে মাদ্রাসার ভূমিকা এবং শিশুদের শিক্ষার অধিকারে তার প্রভাব নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:১৯

—প্রতীকী চিত্র।

মাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সাহায্য প্রদান বন্ধ করার পরামর্শ দিল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। একাধিক জাতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এ নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। তাতে মাদ্রাসার ‘ঐতিহাসিক ভূমিকা’ এবং শিশুদের শিক্ষার অধিকারে তার প্রভাব নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১১ অধ্যায়ের ওই রিপোর্টে কমিশনের মূল পরামর্শ, রাজ্যে রাজ্যে যত মাদ্রাসা আছে, সেখানে আর্থিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ হোক। এবং মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হোক। কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো শিশু শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে মন্তব্য করেন, ‘‘শিক্ষার অধিকার আইনের (আরটিই ২০০৯) লক্ষ্য হল সমতা, সামাজিক ন্যায় এবং গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। কিন্তু তার পরেও একটি বিপরীতধর্মী চিত্র দেখা যাচ্ছে। সেখানে শিশুদের মৌলিক অধিকার এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে।’’ কানুনগোদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র বোর্ড এবং একটি ইউডিআইএসই কোড থাকা মানেই মাদ্রাসা যে শিক্ষার অধিকার সংক্রান্ত আইন মানছে, এমনটা নয়। বেশ কিছু ঘটনার উদ্ধৃতি এবং উদাহরণ দিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বলা হয়েছে মাদ্রাসাগুলিকে যেন সাহায্য না করা হয়। পাশাপাশি, মুসলমান সম্প্রদায়ের শিশুকে মাদ্রাসায় ভর্তি না করিয়ে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কমিশন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই মাদ্রাসায় ডিএড এবং বিএড ডিগ্রি থাকা শিক্ষকদের বড় অঙ্কের বেতনবৃদ্ধিতে অনুমোদন দিয়েছে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভা। ডিএড থাকা মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন ৬ থেকে বেড়ে হচ্ছে মাসিক ১৬ হাজার টাকা এবং মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো বিএড ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের বেতন ৮ থেকে বেড়ে ১৮ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন
Advertisement