Bilkis Bano

‘বিলকিস মামলায় শুনানি এড়াতে চেয়েছিল দোষীরা’

সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাবেই জানায়, বিলকিস বানো-কাণ্ডে অপরাধীরা বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্নের বেঞ্চে শুনানি এড়াতে চেয়েছে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৩ ০৮:৩৩
The accused wanted to avoid hearing in the Bilkis Bano case, says Supreme

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় অপরাধীদের সময়ের আগেই মুক্তির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে গেল। ৯ মে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে। সেই দিন মামলার পরবর্তী দিনক্ষণ ঠিক হবে।

এ দিন শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাবেই জানায়, বিলকিস বানো-কাণ্ডে অপরাধীরা বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্নের বেঞ্চে শুনানি এড়াতে চেয়েছে। এ নিয়ে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করে সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি জোসেফ বলেন, ‘‘কী চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটা স্পষ্ট। আমার শেষ কর্মদিবস ১৯ মে এবং আমার অবসর ১৬ জুন। এটা নিশ্চিত যে আপনার চাননি, এই বেঞ্চ মামলাটি শুনুক। আপনারা (আইনজীবীরা) প্রথমে আদালতের আধিকারিক, সেই ভূমিকার কথা ভুলে যাবেন না। আপনারা কোনও মামলা হারতে পারেন বা জিততে পারেন, কিন্তু নিজেদের কর্তব্য ভুলে যাবেন না।’’

Advertisement

এর আগের শুনানির দিন বিলকিস মামলার ১১ জন অপরাধীকে কেন সময়ের আগেই মুক্তি দেওয়া হল, তা নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার এবং গুজরাতের বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, অপরাধীদের মুক্তির আগে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত ছিল। এ নিয়ে পরবর্তী শুনানির সময় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে এই মুক্তি সংক্রান্ত নথিও তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিক ভাবে সেই সব নথি দিতে অস্বীকার করে কেন্দ্র এবং গুজরাত সরকার সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার কথাও জানায়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি নিয়ে অনড় থাকার পরে এ দিন কেন্দ্র এবং গুজরাত সরকার আদালতে জানিয়েছে, ওই ১১ জনের মুক্তি সংক্রান্ত নথি জমা দিতে প্রস্তুত তারা। মামলাটি জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুনানির জন্য উঠবে। তত দিনে বিচারপতি জোসেফ অবসরে চলে যাবেন। ফলে নতুন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement