CBI

বিধায়ক কেনাবেচার তদন্তভার সিবিআইকে

মাস দুয়েক আগে তেলঙ্গানার সাইবারাবাদ পুলিশ ময়নাবাদের একটি খামারবাড়িতে হানা দেয়। অভিযোগ ওঠে, বিআরএসের চার বিধায়ককে একশো কোটি টাকা করে দিয়ে কিনে বিজেপি সরকার ফেলার চেষ্টা করছে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৩৭
তেলঙ্গানার বিধায়ক কেনাবেচার মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিল হাই কোর্ট।

তেলঙ্গানার বিধায়ক কেনাবেচার মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিল হাই কোর্ট। প্রতীকী ছবি।

তেলঙ্গানার বিধায়ক কেনাবেচার মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিল হাই কোর্ট। ভেঙে দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। এ দিকে, রাজ্যে ক্ষমতাসীন কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর) ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) বিধায়ক পাইলট রোহিত রেড্ডি অভিযোগ করেছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে হেনস্থা করছে।

মাস দুয়েক আগে তেলঙ্গানার সাইবারাবাদ পুলিশ ময়নাবাদের একটি খামারবাড়িতে হানা দেয়। অভিযোগ ওঠে, বিআরএসের চার বিধায়ককে একশো কোটি টাকা করে দিয়ে কিনে বিজেপি সরকার ফেলার চেষ্টা করছে। ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে পাঁচটি পিটিশন দায়ের হয়েছিল আদালতে। তার মধ্যে তিনটি অভিযুক্তদের, একটি বিজেপির আর একটি এক আইনজীবীর দায়ের করা। বিজেপি দাবি করে এসেছে, অভিযোগ কেসিআরের সাজানো। ওই বিআরএস বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছে তারা।

Advertisement

বিজেপির আইনজীবী নেতা এন রামচন্দ্র রাও এ দিন জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশের সিট নিরপেক্ষ তদন্তে অপারগ বলে আদালতে দাবি করেছিলেন তাঁরা। রামচন্দ্র বলেন, ‘‘খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্টিং অপারেশনের সমস্ত টেপ তাঁর নাগালে আছে। একেবারে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। এমন একটা পরিস্থিতিতে, সিটের ভূমিকা নিরপেক্ষ থাকতে পারে বলে আমরা মনে করি না।’’ আদালতের সোমবারের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে সিটের তরফে।

দল বদলানোর জন্য টাকার টোপ দেওয়ার মামলায় অন্যতম অভিযোগকারী তাণ্ডুরের বিআরএস বিধায়ক রোহিত রেড্ডি। গত অক্টোবরে তাঁর দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়। সেখানে রোহিত অভিযোগ করেছিলেন, দলবদল না করলে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে হেনস্থা করা হবে বলে তাঁদের চার বিধায়ককে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। রেড্ডি অভিযোগ করেছেন, মামলাটি এ পর্যন্ত রাজ্য পুলিশের হাতে থাকলেও তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে হেনস্থা ও ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছিল বিজেপি। কেসিআর আজ জানান, এ বিষয়ে তদন্ত না করলেও ইডি কেন নাক গলাচ্ছে— সেই প্রশ্ন নিয়ে রেড্ডি আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

আরও পড়ুন
Advertisement