Telangana High Court

জার্মান নাগরিক ৪ বারের বিধায়ক! ভোটে লড়তে জাল নথি ব্যবহার, জানাল তেলঙ্গানা হাই কোর্ট

চার বারের প্রাক্তন বিধায়কের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তিনি আদৌ ভারতীয় নাগরিক কি না, তা নিয়ে মামলা হয় হাই কোর্টে। সোমবার তেলঙ্গানা হাই কোর্ট জানিয়েছে, তিনি জার্মান নাগরিক। নথি জাল করে ভোটে ল়ড়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:১৩
নথি জাল করে ভোটে দাঁড়ানোর অভিযোগে তেলঙ্গানার প্রাক্তন বিধায়ক চেন্নামানেনি রমেশকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করল হাই কোর্ট।

নথি জাল করে ভোটে দাঁড়ানোর অভিযোগে তেলঙ্গানার প্রাক্তন বিধায়ক চেন্নামানেনি রমেশকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করল হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

তেলঙ্গানার প্রাক্তন বিধায়ক চেন্নামানেনি রমেশ আসলে এক জন জার্মান নাগরিক। সোমবার এ কথা জানিয়েছে তেলঙ্গানা হাই কোর্ট। রমেশ চার বারের বিধায়ক। তার মধ্যে বিআরএস-এর টিকিটে তিন বার বিধায়ক হয়েছেন বেমুলাওয়াড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। সোমবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি জাল নথি ব্যবহার করে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করেছেন।

Advertisement

২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটেও বেমুলাওয়াড়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রমেশ। তবে পরাজিত হন। ওই আসনে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী আদি শ্রীনিবাস। রমেশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন শ্রীনিবাসই। সোমবার তেলঙ্গানা হাই কোর্ট জানায়, রমেশ যে এখন আর জার্মানির নাগরিক নন, এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য কোনও নথি তিনি জার্মান দূতাবাস থেকে দিতে পারেননি। প্রাক্তন বিধায়ককে ৩০ লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে মামলাকারী শ্রীনিবাসকে।

রমেশ মোট চার বারের বিধায়ক। প্রথমে ২০০৯ সালে টিডিপির টিকিটে জেতেন বেমুলাওয়াড়া থেকে। তার পরে ২০১০ সালের উপনির্বাচন, ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন বিআরএসের টিকিটে। নিয়ম অনুসারে, অন্য দেশের নাগরিকেরা এ দেশের নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন না।

২০২০ সালে কেন্দ্রের তরফে তেলঙ্গানা হাই কোর্টকে জানানো হয়, রমেশের জার্মান পাসপোর্ট রয়েছে। সেটি ২০২৩ সাল পর্যন্ত বৈধ। তথ্য গোপনের অভিযোগে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানায় কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন রমেশ। তাতে জার্মান নাগরিকত্ব ত্যাগ করা এবং জার্মানির পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রামাণ্য নথি জমা দিতে বলেছিল হাই কোর্ট। কিন্তু এমন কোনও নথি জমা দিতে পারেননি রমেশ।

Advertisement
আরও পড়ুন