কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিচারক। ফাইল চিত্র।
যৌন নির্যাতন এক মামলায় নির্যাতিতার পোশাক নিয়ে মন্তব্য করায় দায়রা আদালত থেকে শ্রম আদালতের প্রিজাইডিং অফিসার করে বদলি করা হয়েছিল বিচারককে। এ বার সেই বিচারক দ্বারস্থ হলেন কেরল হাই কোর্টে। বিচারক কৃষ্ণকুমারের দাবি, নিয়ম মেনে তাঁর বদলি হয়নি।
কিছু দিন আগে চন্দ্রণ নামে এক লেখক এবং সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে দু’টি যৌন নির্যাতন মামলার শুনানি করেন কেরলের কোঝিকোড়ের আদালতের বিচারক কৃষ্ণকুমার। সেখানে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর একটি মন্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করে। যৌন নির্যাতনের মামলায় অভিযোগকারিণীর পোশাককে দায়ী করেন বিচারক। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, অভিযুক্ত এক জন সমাজসেবী এবং জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করেন। তিনি কোনও তফসিলি মহিলাকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করবেন, এটা বিশ্বাস করা যায় না। এর পর ওই একই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অন্য একটি যৌন হেনস্থা মামলায় তাঁর অন্য একটি পর্যবেক্ষণ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। গত ১২ অগস্টের পর ওই শুনানিতে তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগকারিণী নিজেই যৌন উত্তেজক পোশাক পরেছিলেন। এবং এটা বিশ্বাস করা অসম্ভব যে, ৭৪ বছর বয়সি বৃদ্ধ, যিনি শারীরিক ভাবে অক্ষমও বটে, তিনি এ রকম কোনও কাজ করতে পারেন।’’
বিচারক কৃষ্ণকুমারের এই মন্তব্যের পর তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়। এ বার হাই কোর্টে তাঁর দাবি, বেআইনি ভাবে তাঁকে বদলি করা হয়েছে। আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ডেপুটেশন পোস্টে রয়েছেন। তাই তাঁকে বদলি করতে হলে তাঁরও সম্মতি নিতে হত। কিন্তু তাঁর বদলির সময় এমন কোনও কিছুই হয়নি।