Arunachal Pradesh

ফোন ব্যবহার করায় শাস্তি দিল স্কুল, পরের দিন উদ্ধার ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ, মিলল সুইসাইড নোটও

স্কুল চত্বরে ফোন ব্যবহার করার নিয়ম ছিল না জেনেও নিজের কাছে ফোন রাখত চিরাং। নিয়ম না মানায় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে তাকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪ ১০:১৫

—প্রতীকী ছবি।

স্কুল চত্বরে ফোন ব্যবহার করার নিয়ম নেই। তবুও নিয়ম না মেনে ফোন ব্যবহার করেছিল স্কুলের এক ছাত্র। স্কুলের তরফে শাস্তি দিলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে কিশোর। সোমবার অরুনাচল প্রদেশের আনজাও জেলার আমলিয়াং এলাকার একটি স্কুলের কাছে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত কিশোরের নাম চিরাং ক্রি (১৫)।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, অরুনাচল প্রদেশের একটি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল চিরাং। সেই স্কুলের হস্টেলে থাকত সে। স্কুল চত্বরে ফোন ব্যবহার করার নিয়ম ছিল না জেনেও নিজের কাছে ফোন রাখত চিরাং। নিয়ম না মানায় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে তাকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কিশোর সেই শাস্তি মেনে নিতে পারেনি। সেই স্কুলেই পড়াশোনা করতে চায় বলে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করে চিরাং। রবিবার চিরাং এবং তার বাবার সঙ্গে কথা বলে তাকে স্কুলে পড়াশোনার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু রবিবার বিকেল থেকে খোঁজ পাওয়া যায় না চিরাংয়ের।

সোমবার সকালে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে স্কুলের কাছে লোহিত নদীর ধারে একটি গাছ থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তার জামার পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছে পুলিশ। স্কুলে ফোন ব্যবহার করার জন্য দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি সুইসাইড নোটে ক্ষমাপ্রার্থনাও করেছে চিরাং। চিরাংয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় মর্মাহত হয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেন, ‘‘ও যে কেন এই পদক্ষেপ করল তা বুঝতে পারছি না। ওকে তো স্কুলে পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ওর বাবার সঙ্গেও কথা হয়েছিল আমাদের। এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক।’’ ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement