Candy Crush Saga

ক্লাসে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্যান্ডি ক্রাশ খেলেছেন, ফোনের নথি দেখে শিক্ষককে সাসপেন্ড শিক্ষা দফতরের

সম্প্রতি জেলাশাসক রাজেন্দ্র পানসিয়া ওই স্কুলে গিয়েছিলেন পরিদর্শনে। তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পানসিয়া একটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে দেখেন, পড়ুয়ারা খাতায় একের পর এক ভুল লিখে গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪ ১৭:০১

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মোবাইলে গেম খেলার প্রতি অতিরিক্ত ঝোঁকই কাল হল। সাসপেন্ড (নিলম্বিত) হলেন এক শিক্ষক। অভিযোগ, স্কুলে পড়ানোর সময়ও মোবাইলে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলেন ওই শিক্ষক। কথা বলেন ফোনে। আর সেই তথ্য তুলে ধরেছে তাঁর ফোনই। উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার ঘটনা।

Advertisement

সম্প্রতি জেলাশাসক রাজেন্দ্র পানসিয়া ওই স্কুলে গিয়েছিলেন পরিদর্শনে। তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পানসিয়া একটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে দেখেন, পড়ুয়ারা খাতায় একের পর এক ভুল লিখে গিয়েছে। সে সব খতিয়ে দেখা হয়নি। এর পর ওই শিক্ষকের মোবাইলে থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, ওই দিন স্কুলে বসে দু’ঘণ্টা ধরে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলেছেন তিনি। পানসিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের ক্লাসের কাজ এবং বাড়ির কাজ মন দিয়ে পরখ করা উচিত শিক্ষকের। দেখা উচিত, তারা যাতে ভাল ভাবে বিষয়গুলি শেখে। মোবাইল ফোন ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু স্কুলে বসে ব্যক্তিগত কাজে মোবাইল ব্যবহার ঠিক নয়।’’

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শ্রেণিকক্ষে গিয়ে ছ’জন পড়ুয়ার ছ’টি খাতা দেখেছিলেন পানসিয়া। সেখানে তিনি মোট ৯৫টি ভুল পেয়েছেন। ন’টি ভুল ছিল খাতার প্রথম পাতাতেই। এর পরে ওই শিক্ষক প্রিয়ম গোয়েলের ফোন খতিয়ে দেখেন তিনি। তাতে দেখা গিয়েছে, ক্লাসে বসেই গেম খেলেছেন তিনি। স্কুলের মোট সময় পাঁচ ঘণ্টা। তার মধ্যে দু’ঘণ্টা মোবাইলে গেম খেলেছেন তিনি। ২৬ মিনিট ফোনে কথা বলেছেন। আধ ঘণ্টা সমাজমাধ্যমে কাটিয়েছেন। এর পরেই জেলাশাসক বিষয়টি রাজ্যের শিক্ষা দফতরের নজরে আনে। শিক্ষা দফতর প্রিয়মকে সাসপেন্ড করেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement