Chandrababu Naidu

‘চন্দ্রবাবুই মূল চক্রী’, ১১৪ কোটির ফাইবারনেট দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দিল অন্ধ্র সিআইডি

চার্জশিটে বলা হয়েছে, ‘তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর হাতেই জ্বালানি, পরিকাঠামো এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত দফতর ছিল। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ফাইবারনেট প্রকল্পটি কার্যকর এবং বরাত বণ্টনের সুপারিশ করেছিলেন’।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৭
টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু।

টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু। —ফাইল চিত্র।

১১৪ কোটি টাকার ফাইবারনেট দুর্নীতির মামলায় অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডুকে ‘প্রধান অভিযুক্ত’ হিসাবে চিহ্নিত করল সে রাজ্যের পুলিশ। অন্ধ্র পুলিশের সিআইডির তরফে বিজয়ওয়াড়া এসিবি আদালত পেশ করা চার্জশিটে এই দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

চন্দ্রবাবু ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে নেট ইন্ডিয়া হায়দ্রাবাদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভি হরিকৃষ্ণ প্রসাদ, আইআরটিএস আধিকারিক কে সম্ভাশিব রাও-সহ কয়েক জন অভিযুক্তের। চার্জশিটে বলা হয়েছে, “তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর হাতেই জ্বালানি, পরিকাঠামো এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত দফতর ছিল। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ফাইবারনেট প্রকল্পটি কার্যকর এবং বরাত বণ্টনের সুপারিশ করেছিলেন।”

প্রসঙ্গত, চন্দ্রবাবুর ২০১৪-’১৯ সালের মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময় ৩৩০ কোটি টাকার এপি ফাইবারনেট প্রকল্প ‘ফেজ়-১’-এর বরাদ্দের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয় বলে অন্ধ্রপ্রদেশ সিআইডির অভিযোগ। টেন্ডারে অনিয়ম এবং প্রকল্পে ব্যবহৃত সরঞ্জামের ‘দাম এবং মান’ নিয়ে ‘সমঝোতার কারণে’ সরকারের অন্তত ১১৪ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে টিডিপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি এবং তাঁর দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ মেটাতেই মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। এ বছর লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। সে রাজ্যে মূল লড়াই ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল টিডিপির।

ঘটনাচক্রে, গত সেপ্টেম্বরে ‘অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট দুর্নীতি মামলা’য় চন্দ্রবাবুকে গ্রেফতার করেছিল জগনের সিআইডি। এক মাসেরও বেশই সময় জেলে কাটিয়ে ‘স্বাস্থ্যের কারণে’ জামিনে মুক্তি পান তিনি। ওই মামলায় সিআইডির দাবি, ২০১৫ সালে চন্দ্রবাবু যখন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, তখন অন্ধ্রের ছেলেমেয়েদের বিবিধ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতাপত্র (মউ) স্বাক্ষর করে সে রাজ্যের সরকার। মউয়ে বলা ছিল, এই প্রকল্পের ১০ শতাংশ খরচ বহন করবে সরকার আর বাকি ৯০ শতাংশ ওই বেসরকারি সংস্থা। অভিযোগ, চুক্তি মোতাবেক বেসরকারি সংস্থাটি টাকা দেয়নি। সরকারি কোষাগার থেকেই যাবতীয় ব্যয় হয়েছিল। আর বেসরকারি সংস্থাটির না দেওয়া টাকা নাকি ঘুরপথে গিয়েছিল চন্দ্রবাবুর ঘনিষ্ঠ কয়েক জন ব্যক্তির বাণিজ্যিক সংস্থায়।

আরও পড়ুন
Advertisement