সুপ্রিম কোর্ট। -ফাইল ছবি। ফাইল ছবি।
নতুন কৃষি আইনগুলি খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত প্যানেলের বিশেষজ্ঞরা শুধুই তাঁদের মতামত জানাবেন আদালতে। কৃষি আইন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের দেওয়া হয়নি। প্যানেল পুনর্গঠনের আর্জি নিয়ে শুনানিতে বুধবার এ কথা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে। এর পাশাপাশি, প্যানেল পুনর্গঠনের আর্জির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্যও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
অকালি দল-সহ বিরোধীদের ও বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই ৪ সদস্যের বিশেষজ্ঞদের প্যানেলে এমন অনেকে রয়েছেন যাঁরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাই নতুন কৃষি আইন নিয়ে তাঁদের মতামত নিরপেক্ষ হতে পারে না। এরই প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের প্যানেল পুনর্গঠনের আর্জি জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে। কৃষকদের পাঠানো নোটিশেরও বুধবার কড়া সমালোচনা করেছে অকালি দল। অকালি নেতা মনজিন্দর সিংহ সিরসা বলেছেন, ‘‘এই সব কৃষকদের আন্দোলন বন্ধ করার দুরভিসন্ধি। সরকার গণতন্ত্রবিরোধী কাজ করছে।’’ ও দিকে সমস্যা মেটাতে বুধবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক সংগঠনগুলির বৈঠক শুরু হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেছেন, ‘‘কৃষি বিষয়ে আমরা বিশেষজ্ঞ নই বলেই কৃষি আইন খতিয়ে দেখার জন্য প্যানেলের বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করেছি। কিন্তু সেই প্যানেলের কারও কারও বিরুদ্ধে এখন কুৎসা রটানো হচ্ছে। কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, প্যানেলে থাকা বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ কৃষি আইন নিয়ে তাঁদের মতামত ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন।’’
এর পরেই প্রধান বিচারপতি জানান, বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ, এই প্যানেলে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা শুধুই তাঁদের মতামত জানাবেন আদালতে। কৃষি আইন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের দেওয়া হয়নি।
তবে সেই মতামত প্রকাশের আগেই প্যানেলের বিশেষজ্ঞদের সম্পর্কে পক্ষপাতমূলক আচরণের যে ধারণা পোষণ করছেন কেউ কেউ, তাতে দৃশ্যতই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি বোবদে বুধবার বলেছেন, ‘‘প্যানেলে যাঁরা আছেন কৃষি ক্ষেত্রে তাঁরা প্রত্যেকেই প্রতিভাবান, অতুলনীয়। কেনই বা তাঁদের সম্পর্কে অযথা কুৎসা রটানো হচ্ছে?’’
প্যানেল পুনর্গঠনের আর্জির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কী বক্তব্য, তা-ও জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।