Supreme Court

‘ছুটি চেয়ে চিঠিও লিখতে পারেন না কেউ!’ বিহারের শিক্ষকদের ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের, আর্জিও খারিজ

বিহার সরকার সরকারি স্কুলগুলিতে কর্মরত পঞ্চায়েত নিযুক্ত শিক্ষকদের যোগ্যতা নিশ্চিত করতে একটি পরীক্ষা চালু করেছে। সেই পরীক্ষার বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষকেরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪ ১৭:২৩
সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

বিহারের এক দল শিক্ষককে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলল আদালত। ওই শিক্ষকেরা বিহার সরকারের একটি সাম্প্রতিক নির্দেশের বিরোধিতা করে আদালতে গিয়েছিলেন। বিহার সরকার সম্প্রতি রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে কর্মরত শিক্ষকদের যোগ্যতা নিশ্চিত করতে একটি পরীক্ষা চালু করার কথা বলেছে। সেই পরীক্ষার বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পঞ্চায়েত স্তরের ওই শিক্ষকেরা।

Advertisement

শিক্ষকদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কড়া মন্তব্য করেছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন। বিহার সরকারের এই পরীক্ষা না দেওয়ার কথা ভাবার জন্যও তিনি শিক্ষকদের সমালোচনা করেছেন। বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এটাই কি এই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মান? এক জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী চাকরি পেয়েছেন, কিন্তু সামান্য একটি ছুটির আবেদনপত্র লিখতে পারেন না? আর বিহারের মতো একটি রাজ্য যখন শিক্ষকদের যোগ্যতার পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা আরও উন্নত করার চেষ্টা করছে, তখন তার বিরোধিতা করা হচ্ছে!’’ মামলাকারী শিক্ষকদের উদ্দেশে বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘আপনারা যদি যোগ্যতার পরীক্ষার মুখোমুখি হতে না পারেন, তা হলে আপনাদের পদত্যাগ করা উচিত।’’

শিক্ষকদের হয়ে বিহারের পরিবর্তনকারী প্রারম্ভিক শিক্ষক সঙ্ঘ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এই সংক্রান্ত মামলা এর আগে পটনা হাই কোর্টে উঠেছিল। সেখানেও শিক্ষকদের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টও পটনা হাই কোর্টের রায় বহাল রেখেছে। অর্থাৎ, সকল শিক্ষককেই সরকার নির্ধারিত ওই যোগ্যতার পরীক্ষায় বসতে হবে।

বস্তুত, পঞ্চায়েত দ্বারা নিযুক্ত শিক্ষকদের রাজ্য সরকারি শিক্ষকের সমস্তরে নিয়ে যেতে ২০২৩ সালে নতুন একটি যোগ্যতার পরীক্ষা চালু করার ঘোষণা করেছিল বিহারের শিক্ষা দফতর। সেই পরীক্ষার বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হন অনেকে। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা খারিজ হয়ে গেল।

আরও পড়ুন
Advertisement