SC-ST Quota

তফসিলি জাতি-জনজাতির মধ্যেও একাংশ আলাদা করে সংরক্ষণের সুবিধা পেতে পারে: সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, তফসিলি জাতি-জনজাতিদের মধ্যে উপশ্রেণি চিহ্নিতকরণ ও বিশেষ সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৪ ১২:০৮

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চাকরিতে তফসিলি জাতি-জনজাতিদের (এসসি-এসটি) মধ্যে একাংশকে চিহ্নিত করে আলাদা করে সংরক্ষণের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারের।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, ‘‘উপশ্রেণি চিহ্নিতকরণের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সমতার নীতি লঙ্ঘন করছে না।’’ তবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায়ের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছয়নি। ছ’জন বিচারপতি তফসিলি জাতি-জনজাতিদের মধ্যে ‘অতি পিছিয়ে পড়া অংশকে’ চিহ্নিত করে ‘কোটার মধ্যে কোটা’র সুবিধা দেওয়ায় ছাড়পত্র দিলেও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন।

২০০৫ সালে শীর্ষ আদালত এক রায়ে বলেছিল, ‘‘তফসিলি জাতি-জনজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের এক্তিয়ার কোনও রাজ্যের সরকারের নেই।’’ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেই রায় খারিজ করে দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও এসসি-এসটিদের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, তফসিলি জাতি-জনজাতি এমনকি, ওবিসিদের মধ্যে ‘অতি পিছিয়ে পড়া অংশ’কে চিহ্নিত করে তাঁদের জন্য এসসি-এসটি কোটার মধ্যেই পৃথক সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু রয়েছে কয়েকটি রাজ্যে। বাংলার পড়শি বিহারে দেড় দশকেরও বেশি সময় আগে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকার ওবিসি এবং দলিতদের (এসসি) মধ্যে তুলনামূলক ভাবে বেশি পিছিয়ে পড়া অংশ ‘অতি অনগ্রসর’ এবং ‘মহাদলিত’ হিসাবে চিহ্নিত করে পৃথক সংরক্ষণের সুবিধার ব্যবস্থা করেছিল।

আরও পড়ুন
Advertisement