প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি)-এর ‘নিরঙ্কুশ ক্ষমতা’ নিয়ে এ বার প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তুলেছে, বেআইনি আর্থিক লেনদেনের (পিএমএলএ) মামলায় বাজেয়াপ্ত করা নথির প্রতিলিপি কেন অভিযুক্তেরা পাবেন না?
২০২২ সালের সরলা গুপ্ত বনাম ইডি মামলায় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা, বিচারপতি এ আমানউল্লাহ এবং বিচারপতি এজি মসিহের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, প্রাক-ট্রায়াল পর্যায়ে পিএমএলএ মামলায় নির্ভরশীল গুরুত্বপূর্ণ নথি থেকে বঞ্চিত করতে পারে কি না, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘বিষয়টি নাগরিকের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত।’’
পিএমএলএ মামলায় অভিযুক্তকে কেবল প্রযুক্তিগত কারণে নথি দেওয়া অস্বীকার করা যেতে পারে কি না, সে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি আমানুল্লার প্রশ্ন, ‘‘কেন সব কিছু স্বচ্ছ হতে পারে না?’’ এ সময় ইডির আইনজীবী এসভি রাজু বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ব্যক্তি তো জানেন, তাঁর কাছ থেকে কী কী নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানলে তিনি তা চাইতে পারবেন। কিন্তু শুধু অনুমানের ভিত্তিতে খোঁজ করা চলবে না।’’
কিন্তু সেই যুক্তি খারিজ করে বেঞ্চ বলে, ‘‘সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ (জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার) নিশ্চয়তা দেয়। একটি পিএমএলএ মামলায়, আপনি হাজার হাজার নথি উদ্ধার করতে পারেন কিন্তু আপনি কেবলমাত্র ৫০টির উপর নির্ভর করেন। অভিযুক্তের প্রতিটি নথি মনে নাও থাকতে পারে। তিনি তখন জিজ্ঞাসা করতে পারেন যে আমার জায়গা থেকে কোন নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এত অনমনীয় হওয়া কি উচিত?’’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে বিচারপতি ওকার নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, বিশেষ আদালতে বিচারাধীন পিএমএলএ মামলার ১৯ নম্বর ধারায় (অর্থ নয়ছয়) অভিযুক্তকে ইডি গ্রেফতার করতে পারবে না। ইডি যদি তেমন কোনও অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখতে চায়, তা হলে সংশ্লিষ্ট বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে। বুধের নির্দেশ আবার ইডির পক্ষে ধাক্কা বলে আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি।