NLFT and ATTF of Tripura

ত্রিপুরায় শান্তি ফেরাতে দুই নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি সই, শাহ বললেন, ‘ঐতিহাসিক’

জঙ্গিগোষ্ঠী ‘ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা’ (এনএলএফটি) এবং ‘অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স’ (এটিটিএফ)-এর সঙ্গে বুধবার শান্তি চুক্তি সই করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৫
অমিত শাহ।

অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

বছর ঘোরার আগেই অবস্থান বদলাল নরেন্দ্র মোদী সরকার। স্বাধীন তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে সক্রিয় দুই জঙ্গিগোষ্ঠী ‘ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা’ (এনএলএফটি) এবং ‘অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স’ (এটিটিএফ)-কে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে। বুধবার তাদের সঙ্গেই শান্তিচুক্তি সই করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Advertisement

দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সইকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে চিহ্নিত করে শাহ বলেন, ‘‘৩৫ বছর পরে আপনারা যে অস্ত্র ছেড়ে গণতন্ত্রের মূল স্রোতে ফিরে এলেন, এটি আমাদের সকলের জন্য আনন্দের বিষয়।’’ প্রসঙ্গত, অতীতে এনএলএফটি এবং এটিটিএফ-এর সহযোগী এবং শাখা সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, নাশকতা-সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ অক্টোবর বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (ইউএপিএ) অনুযায়ী ওই দুই জঙ্গিগোষ্ঠী এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করেছিল মোদী সরকার।

পূর্বতন বাম সরকারের আমলে ১৯৯৬ সালে ত্রিপুরায় ওই দুই জঙ্গি সংগঠনের উৎপত্তি। গণহত্যা, অপহরণ, চোরাচালান-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে এনএলএফটি এবং এটিটিএফ-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে। আশির দশকের শেষ পর্বে রাজীব গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় শান্তি প্রক্রিয়ায় শামিল হওয়া জঙ্গিগোষ্ঠী টিএনভি (ত্রিপুরা ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স)-র একাংশ পরবর্তী সময়ে এনএলএফটি গড়েছিল। উগ্র বামবিরোধী বলে পরিচিত ছিল এই গোষ্ঠী। অন্য দিকে, এটিটিএফ নেতৃত্বের একাংশ ‘বাম-ঘনিষ্ঠ’ বলে অতীতে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে। দুই সংগঠনের নেতারাই দক্ষিণ ত্রিপুরার জনজাতি সম্প্রদায়ের।

আরও পড়ুন
Advertisement