SC to ED

‘ভয়ের পরিবেশ তৈরি করবেন না,’ ইডির উদ্দেশে ‘সাবধানবাণী’ সুপ্রিম কোর্টের

দেশ জুড়ে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ বেছে বেছে বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলিকে নিশানা করা হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৩ ১০:৩৮
Supreme Court directed to Enforcement Directorate not to create an atmosphere of fear

ইডির উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘‘এ ভাবে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা বাঞ্ছনীয় নয়।’’ —প্রতীকী চিত্র।

বাংলা, ছত্তীসগঢ়-সহ একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্যে বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগের তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তা নিয়ে ছত্তীসগঢ় সরকারের একটি মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ‘সাবধান’ করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে জানাল তদন্তের স্বার্থে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা সমীচীন নয়।

ছত্তীসগঢ় সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল একটি মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের আবগারি দফতরের একাধিক আধিকারিককে হুমকি দিচ্ছেন ইডি আধিকারিকেরা। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও মদ কেলেঙ্কারিতে জড়িত, এই অভিযোগ করে ইডি একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছে। এই নিয়ে মামলার শুনানিতে বিচারপতি এসকে কৌল এবং বিচারপতি আমানুল্লার ডিভিশন বেঞ্চ ইডির উদ্দেশে বলে, ‘‘এ ভাবে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা বাঞ্ছনীয় নয়।’’

Advertisement

আদালতে ছত্তীসগঢ় সরকারের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, ‘‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অস্থির ভাবে কাজ করছে। তদন্তে নেমে তারা আবগারি আধিকারিকদের হুমকি দিচ্ছে।’’ একে তিনি ‘ভয়াবহ অবস্থা’ বলেও মন্তব্য করেন। অন্য দিকে, ইডির তরফে সওয়ালকারী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু এই অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি জানান, শুধুমাত্র মদ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে ইডি। তার বেশি কিছু নয়। দুই পক্ষের মতামত শোনার পর ওই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট।

উল্লেখ্য, ছত্তীসগঢ়ে মদের ব্যবসার সমস্ত দিক নিয়ন্ত্রণ করে রাজ্য সরকার। কোনও ব্যক্তিগত মদের দোকান সেখানে অনুমোদিত নয়। ছত্তীসগঢ়ের প্রায় ৮০০ মদের দোকান রাজ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। কিন্তু সেখানে প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি ইডি একটি বিবৃতিতে দাবি করে ছত্তীসগঢ়ে প্রতিটি মদের বোতল বিক্রিতে দুর্নীতি হয়েছে। মদ ব্যবসা থেকে অবৈধ ভাবে টাকা তোলা হয়েছে। এবং সেই দুর্নীতির অঙ্ক প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা!

আরও পড়ুন
Advertisement