অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং স্ত্রী সুনীতা কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
স্বামীর গ্রেফতারি নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দাগলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরীওয়াল। অভিযোগ করলেন, নিজের ক্ষমতার দম্ভে দিল্লির তিন বারের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাতে কেজরীওয়ালকে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে ইডি। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় তিনিই ‘কিংপিন’। যদিও কেজরীওয়ালের দল আপ তা নস্যাৎ করে দিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছে তারা। শুক্রবার কেজরীকে যখন রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তুলেছে ইডি, তখন তাঁর স্বামীর গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন সুনীতা। এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) সুনীতা লেখেন, ‘‘মোদীজি আপনাদের তিন বারের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর ক্ষমতার দম্ভে গ্রেফতার করিয়েছেন। এবং সবাইকে চূর্ণ করার চেষ্টা করছেন তিনি।’’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর সংযোজন, তাঁর স্বামীর গ্রেফতারি আসলে দিল্লির জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। তিনি এক্সে আরও লেখেন, ‘‘আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জেলের ভিতরে হোক বা বাইরে, নিজের জীবন তিনি দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। জনগণই সব এবং তাঁরা সব কিছু জানেন। জয় হিন্দ।’’
आपके 3 बार चुने हुए मुख्यमंत्री को मोदीजी ने सत्ता के अहंकार में गिरफ़्तार करवाया।सबको crush करने में लगे हैं। यह दिल्ली के लोगो के साथ धोखा है।आपके मुख्यमंत्री हमेशा आपके साथ खड़े रहें हैं।अंदर रहें या बाहर, उनका जीवन देश को समर्पित है।जनता जनार्दन है सब जानती है।जय हिन्द🙏
— Sunita Kejriwal (@KejriwalSunita) March 22, 2024
উল্লেখ্য, কেজরীকে ১০ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেজরী আদালতে ঢোকার আগে বলেন, ‘‘আমার জীবন দেশের উদ্দেশে নিবেদিত।” তাঁকেও বলতে শোনা গিয়েছে যে, জেলের ভিতর থেকেও মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন। অন্য দিকে, আবগারি মামলায় গ্রেফতারির পর কেজরীওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে দিল্লি হাই কোর্টে। মুখ্যমন্ত্রীর পদেই থাকবেন কেজরীওয়াল। আপ জানাচ্ছে, প্রয়োজনে জেলে থেকেই সরকার চালাবেন কেজরীওয়াল। কিন্তু এমন একটি পদে থেকে সেটা অনুচিত বলে দাবি করেছেন মামলাকারী। হলফনামায় মামলাকারী এ-ও জানিয়েছেন, আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এমন এক জনকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের মতো গুরুত্ব পদে রাখা সমীচীন নয়। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে কেজরীওয়াল যে বেতন নিতেন, তার পরিমাণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।