অভিযুক্ত নৈতিক চৌধুরী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
‘মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনা’র সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজের স্ত্রীকে নিয়ে সরকারি গণবিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সাক্ষী রেখে সাত পাক ঘুরে মালাবদলের তোড়জোড়ও শুরু করেছিলেন। সরকারি অর্থসাহায্য পাওয়ার জন্যই কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর পদাধিকারি নৈতিক চৌধুরী এমন কাজ করেন বলে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের অভিযোগ। ঘটনার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
শিবরাজ সিংহ চৌহান ক্ষমতায় ফেরার পরেই জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনা প্রকল্পে গণবিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করেছেন। সেখানে নবদম্পতিদের সরকারি সাহায্যেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাগর জেলার ধর্মশ্রীর বালাজি মন্দিরে এমনই এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানেই হাজির হয়েছিলেন নৈতিক এবং তাঁর স্ত্রী। যদিও আয়োজকেরা তাঁকে চিনে ফেলে পুলিশে খবর দেন। কারণ, আয়োজকদের কয়েক জন জানতেন গণবিবাহ অনুষ্ঠানের দিন পনেরো আগেই ঘরোয়া অনুষ্ঠানে নৈতিকের বিয়ে হয়েছিল।
यह श्रीमान एनएसयूआई के राष्ट्रीय समन्वयक हैं। मुख्यमंत्री कन्यादान योजना का लाभ लेने के लिए दूसरी बार विवाह रचाने चले थे।
— लोकेन्द्र पाराशर Lokendra parashar (@LokendraParasar) May 26, 2022
खबर है कि पुलिस ने दबोच लिया है ।
क्या कहते हैं कमलनाथ जी! @NSUIMP @nsui pic.twitter.com/804Vq9z1wv
ঘটনার কথা জেনেই হতেই বালাজি মন্দিরে পৌঁছয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় নৈতিককে। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি শাসকদল বিজেপি। ধৃতের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক দিয়ে মধ্যপ্রদেশের শাসকদলের নেতা লোকেন্দ্র পরাশর টুইটারে লিখেছেন, ‘এই কীর্তিমান এনএসইউআই-এর জাতীয় আহ্বায়ক। মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনার সুবিধা নিতে দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। কমলনাথজি (মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা) কী বলেন!’