Hathras Stampede Incident

হাথরসের ঘটনার পর থেকেই ‘বেপাত্তা’! ভোলে বাবার পোস্টারে ইটবৃষ্টি, ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ!

মঙ্গলবার হাথরসে একটি ‘সৎসঙ্গ’-এর ডাক দিয়েছিলেন ভোলে বাবা। খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে ‘সৎসঙ্গ’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষেই ঘটে বিপত্তি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ ১৪:১৯
Stones hurled at Baba\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s poster in Hathras

(বাঁ দিকে) ভোলে বাবা। হাথরাসের দুর্ঘটনা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

তাঁরই ডাকা ‘সৎসঙ্গে’ পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু তার পর থেকেই ‘বেপাত্তা’ স্বঘোষিত ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি। ভক্তদের কাছে তিনি ভোলে বাবা নামেই পরিচিত। মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকেই হাথরসের বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে ভোলে বাবার উপর। তাঁর পোস্টার লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছে ইট-পাথরও। এমন ঘটনার বেশ কিছু ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার হাথরসে একটি ‘সৎসঙ্গ’-এর ডাক দিয়েছিলেন ভোলে বাবা। খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে ‘সৎসঙ্গ’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষেই ঘটে বিপত্তি। কেউ বলছেন, ‘সৎসঙ্গ’-এর জন্য যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তা ঘেরা ছিল। পাখার ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে সকলেই হাঁসফাঁস করছিলেন। ‘সৎসঙ্গ’ শেষ হওয়ার পরেই মানুষ হুড়মুড়িয়ে মাঠের বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। সেই থেকে বিপদ। আবার কারও কথায়, প্যান্ডলের আসা-যাওয়ার জন্য যে গেট তৈরি হয়েছিল, সেটিও অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ হওয়ার কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

ঘটনার পর থেকে ‘বেপাত্তা’ ভোলে বাবা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কার দোষে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই এফআইআরে ‘সৎসঙ্গ’-এর আয়োজকদের নাম থাকলেও, সেই ভোলে বাবার নাম নেই। তবে ঘটনার পর থেকেই ভোলে বাবাকে নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে।

মঙ্গলবার হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২১। আহত আরও বহু। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। বুধবার সকালে তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হাথরসের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। নানা প্রশ্ন উঠে আসছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

আরও পড়ুন
Advertisement