Hathras Stampede Incident

এফআইআরে নাম নেই ভোলে বাবার! অভিযোগ দায়ের শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে

মঙ্গলবার রাত থেকেই ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত পুণ্যার্থীদের। এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে নেই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর নাম।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ ১০:১২
(বাঁ দিকে) ভোলে বাবা। হাথরাসের দুর্ঘটনা (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ভোলে বাবা। হাথরাসের দুর্ঘটনা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

হাথরসের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে চারদিক তোলপাড়। পিটিআই সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত অন্তত ১২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বুধবার সকালেই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে এফআইআরে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবার নাম নেই। শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের আয়োজকদের নাম রয়েছে এফআইআরে। ইলাহাবাদ হাই কোর্টে সেই মর্মে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। হাথরসের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে।

Advertisement

এই ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন আগরার অতিরিক্ত ডিজিপি। বুধবার সকালেই ধর্মীয় গুরুর আশ্রমে পৌঁছে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরাট দল। কিন্তু ধর্মগুরুর সন্ধান এখনও মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের এক আধিকারিক সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে।

মঙ্গলবার হাথরসে সৎসঙ্গের ডাক দিয়েছিলেন নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবা। তার শেষেই হুড়োহুড়ি পড়ে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মারা গিয়েছেন অন্তত ১২১ জন পুণ্যার্থী। এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নারায়ণ সাকার ওরফে ‘ভোলে বাবা’ নামে স্বঘোষিত এক ধর্মীয় গুরুর জন্য ‘মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাবনা অনুষ্ঠান কমিটি’র তরফে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ওই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল মঙ্গলবার। অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। ভক্তদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। হুড়োহুড়ি করে বেরোনোর সময় ঘটে বিপত্তি। এই ঘটনায় সৎসঙ্গের আয়োজক কমিটির দিকে আঙুল উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, সৎসঙ্গের জন্য যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তা ঘেরা ছিল। পাখার ব্যবস্থা করা হয়নি। প্যান্ডেল খোলামেলা থাকলেও আর্দ্রতা এবং গরমের কারণে সকলেই হাঁসফাঁস করছিলেন। ফলে সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরেই মানুষ হুড়মুড়িয়ে মাঠের বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আসা-যাওয়ার জন্য যে গেট তৈরি হয়েছিল, সেটিও অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ হওয়ার কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অনেকে মাটিতে পড়ে যান। বাকিরা তাঁদের উপর দিয়েই বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। তাতেই মারা গিয়েছেন শতাধিক ভক্ত।

আরও পড়ুন
Advertisement