26-11 Mumbai Attack

২৬/১১ মুম্বই হামলার চক্রী তাহাউরের প্রত্যর্পণ চূড়ান্ত করার তোড়জোড়! শীঘ্রই আমেরিকা যাচ্ছে এনআইএ

আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট তাহাউরের প্রত্যর্পণে অনুমতি দিয়েছে। সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপের মূল্যায়নও শুরু করে দিয়েছে আমেরিকার প্রশাসন। শীঘ্রই এনআইএ আধিকারিকদের একটি দলও যেতে পারে আমেরিকায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫৬
(বাঁ দিকে) ২৬/১১ মুম্বই হামলার দৃশ্য এবং তাহাউর রানা (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ২৬/১১ মুম্বই হামলার দৃশ্য এবং তাহাউর রানা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে দ্রুত ভারতে ফেরাতে চাইছে কেন্দ্র। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই সেই মতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ আধিকারিকদের একটি প্রতিনিধিদল শীঘ্রই আমেরিকায় যাবে। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ীকে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত কাজকর্ম চূড়ান্ত করতেই তারা আমেরিকা যাচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

জানুয়ারির শেষের দিকেই এনআইএ-র প্রতিনিধিদলের আমেরিকায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিনিধিদলে থাকবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ইনস্পেক্টর জেনারেল এবং ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। আমেরিকার বিদেশ দফতরের এক মুখপাত্রও এএনআইকে জানিয়েছেন, ২৬/১১ মুম্বই হামলার বিচারের জন্য ভারতের উদ্যোগকে দীর্ঘ দিন ধরেই সমর্থন করছে আমেরিকা। এখন পরবর্তী পদক্ষেপগুলির মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের ওই মুখপাত্র।

তাহাউরকে ভারতে নিয়ে আসার জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে নয়াদিল্লি। ভারতের উদ্যোগে প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে আগ্রহী আমেরিকাও। তবে আইনি মারপ্যাঁচে দীর্ঘ দিন ধরে প্রত্যর্পণ আটকে রয়েছে। আমেরিকার এক নিম্ন আদালত, ওয়াশিংটনের প্রাদেশিক আদালতে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আবেদন করেন তাহাউর। কোথাও সুরাহা হয়নি। সান ফ্রান্সিসকোর আপিল আদালতেও প্রত্যর্পণের পক্ষেই রায় গিয়েছে। এর পরে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সম্প্রতি আমেরিকার শীর্ষ আদালতও তাহা‌উরকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে ছিলেন ছ’জন মার্কিন নাগরিকও। ওই হামলায় যোগ পাওয়া যায় পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক রানার। দোষী প্রমাণিত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি জেলে বন্দি রয়েছেন।

পাকিস্তান থেকে আসা লস্কর-ই-তইবার ১০ জঙ্গির মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনায় রানা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ভারতের। অন্যতম অভিযুক্ত ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গী রানাকে হাতে পাওয়ার জন্য প্রায় দেড় দশক আগে ওয়াশিংটনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে সায় মেলেনি। পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষিক বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে আবার রানাকে আমেরিকার থেকে ফেরত চায় ভারত। তার পরে ২০২০ সালের জুন মাসে মুম্বই নাশকতার ঘটনাতেই ফের রানাকে গ্রেফতার করে আমেরিকার পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন