Mumbai BMW Crash

স্কুটিতে ধাক্কার পর কি প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে লুকিয়ে ছিলেন শিন্ডেসেনা নেতার পুত্র? দেখছে পুলিশ

রবিবার ভোরে শিন্ডেসেনা নেতার পুত্রের বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। শিন্ডেসেনা নেতা রাজেশ শাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:০০
(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। ছবি: পিটিআই। শিন্ডেসেনা নেতার পুত্র মিহির শাহ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। ছবি: পিটিআই। শিন্ডেসেনা নেতার পুত্র মিহির শাহ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

মুম্বইয়ে শিবসেনা (শিন্ডে গোষ্ঠী) নেতার পুত্রের বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে রবিবার। তার পর থেকেই অভিযুক্ত সেই মিহির শাহ পলাতক। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি প্রেমিকার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন মিহির। সেখানেই গা- ঢাকা দিয়েছিলেন প্রাথমিক ভাবে। পরে সেখান থেকেও পালিয়ে যান। এই ঘটনায় অভিযুক্তের প্রেমিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রবিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তের বাবা তথা শিন্ডেসেনা নেতা রাজেশ শাহকে। ঘাতক গাড়িটি ছিল তাঁর নামেই।

Advertisement

রবিবার ভোরে স্কুটারে করে সাসুন ডকে মাছ কিনতে গিয়েছিলেন প্রদীপ নাকভা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী কাবেরী। ওরলির কোলিওয়াড়া এলাকার বাসিন্দা প্রদীপের মাছের ব্যবসা। প্রতি দিন ডক এলাকা থেকে মাছ কিনে এনে বাজারে বিক্রি করেন নাকভা দম্পতি। রবিবার ফেরার পথে তাঁদের স্কুটিতে পিছন থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে একটি বিএমডব্লিউ। প্রদীপ ছিটকে রাস্তায় পড়লেও কাবেরীকে বেশ কিছুটা পথ টেনে নিয়ে যায় গাড়িটি। অভিযোগ, দুর্ঘটনার সময়ে গাড়ির স্টিয়ারিং ছিল মিহিরের হাতেই। চালকের কাছে তিনি গাড়ি চালাতে চান বলে বায়না করেছিলেন। তাঁকে গাড়ি চালাতে দেওয়া হয়েছিল। তাতেই ঘটে বিপত্তি।

প্রদীপ এবং কাবেরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কাবেরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। প্রদীপ এখনও চিকিৎসাধীন। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, আগের দিন রাতে বন্ধুদের সঙ্গে পানশালায় গিয়েছিলেন মিহির। সেখান থেকে ফেরার পথেই ওরলির কাছে ফাঁকা রাস্তা দেখে তিনি গাড়ি চালানোর বায়না করেছিলেন। স্কুটিতে ধাক্কা মারার পর ঘটনাস্থলে গাড়ি রেখে তিনি এবং গাড়ির চালক অটোয় চেপে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ।

পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথমেই প্রেমিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি গাড়ির চালককেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মিহিরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (জ়োন ৩) কৃষ্ণকান্ত উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘ঘটনার সময়ে গাড়িতে দু’জন ছিলেন। কে গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান, মিহিরই গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে ছিলেন।’’

দুর্ঘটনার সময়ে মিহির নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জুহুর যে পানশালায় আগের রাতে তিনি গিয়েছিলেন, তাঁর মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন, মিহির সে দিন মদ খাননি। তবে বাকি দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement