Shraddha Walker Murder

হদিস নেই শ্রদ্ধার মাথার, এলাকায় দেহাংশ মিললে রিপোর্ট করুন, সব থানায় নির্দেশ পুলিশের

রাজধানীর সব থানায় নির্দেশ গেল, মে মাস থেকে শহরের কোনও এলাকায় কোনও দেহ বা দেহাংশ মিলেছে কি না রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট থানাকে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ১২:০১
সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণ দিল্লির ছতরপুরের কাছে মেহরৌলীর জঙ্গলে আফতাবকে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ।

সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণ দিল্লির ছতরপুরের কাছে মেহরৌলীর জঙ্গলে আফতাবকে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। — ফাইল ছবি।

এখনও মেলেনি শ্রদ্ধা ওয়ালকরের কাটা মাথা। এখনও মেলেনি সেই ধারালো অস্ত্র, যা দিয়ে কাটা হয়েছিল তাঁর দেহ। এগুলি না মিললে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা জোরালো হবে না। আদালতে বেকসুর খালাস পেয়ে যেতে পারেন তিনি। সেই কারণে তৎপর হয়ে উঠল দিল্লি পুলিশ। রাজধানীর সব থানায় নির্দেশ গেল, মে মাস থেকে শহরের কোনও এলাকায় কোনও দেহ বা দেহাংশ মিলেছে কি না রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট থানাকে।

রাজধানী ও সংলগ্ন ১৫টি জেলার ১৭৮টি থানায় নির্দেশ পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশের সদর দফতর। জানিয়েছে, মে থেকে জুলাই পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট থানার অধীনে থাকা এলাকায় দেহাংশ মিলেছে কি না, তার রিপোর্ট দিতে হবে। সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণ দিল্লির ছতরপুরের কাছে মেহরৌলীর জঙ্গলে আফতাবকে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে ১০টি ব্যাগ ভর্তি দেহাংশ মিলেছে। শ্রদ্ধার সঙ্গে ছতরপুরের এক ফ্ল্যাটে থাকতেন আফতাব। তার কাছেই ওই জঙ্গলে গিয়ে তিনি দেহাংশ ফেলে এসেছিলেন বলে পুলিশ তদন্তে জেনেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আফতাবকে এর পর হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডেও নিয়ে যাওয়া হবে। গত মে মাসে শ্রদ্ধার সঙ্গে দিল্লিতে থাকতে আসেন ২৮ বছরের তরুণ। তার আগে ওই দুই জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন আফতাব এবং শ্রদ্ধা। ওই সব জায়গায় নিয়ে গিয়ে আফতাবকে জেরা করতে চায় দিল্লি পুলিশ। গত জুনে দিল্লির ত্রিলোকপুরীতে একটি কাটা মাথা এবং হাত মিলেছিল। ওই দেহাংশের ডিএনএ পরীক্ষার ফল এখনও আসেনি। মেহরৌলীর জঙ্গলে মেলা হাড়ের টুকরোর নমুনা নিয়েও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ মে লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করেন আফতাব। শ্রদ্ধা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। সে কারণেই তাঁকে খুন করেন বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত। এর পর তদন্তে দেখা গিয়েছে, শৌচালয়ে বসে ঠান্ডা মাথায় শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করেছিলেন আফতাব। ১৮ দিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দেহের টুকরো। শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গত শনিবার আফতাবকে আটক করে দিল্লি পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement