মুম্বইয়ে একাধিক জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন আফতাব, এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। ফাইল চিত্র।
শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে হত্যার ঘটনায় যত তদন্ত এগোচ্ছে, ততই উঠে আসছে নতুন তথ্য। মুম্বইয়ে বাড়ির খোঁজ করছিলেন অভিযুক্ত যুবক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। সেই সময় লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে নিজের স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের ভাসাই এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন আফতাব। সেই মতো ওই এলাকায় ফ্ল্যাট খোঁজা শুরু করেন তিনি। অধিকাংশ সময়ই বাড়ির মালিকদের কাছে শ্রদ্ধাকে নিজের স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিতেন আফতাব।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০১৯ সালে নাইগাঁও (পূর্ব) এলাকায় একটি এক কামরার ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন আফতাব। সে সময় বিবাহিত দম্পতি হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন আফতাব। যুবকের নামেই ঘর ভাড়া নেওয়ার চুক্তি হয়েছিল।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ওই যুগল ভাসাই পূর্ব এলাকায় এক কামরার একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। সে বারও বাড়িওয়ালার কাছে শ্রদ্ধাকে নিজের স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন আফতাব। জানা গিয়েছে পুনাওয়ালার নামে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেওয়া হলেও পুলিশের তথ্য যাচাইয়ের নথিতে শ্রদ্ধার ছবি দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই ফ্ল্যাটটি ছেড়েছিলেন তাঁরা। এর পরই ওই বছরের মার্চ মাসে তাঁরা দিল্লিতে চলে যান।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তার পর তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করেন আফতাব। দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলিতে বাড়ির ফ্রিজে প্রায় তিন মাস ধরে শ্রদ্ধার দেহাংশ রেখেছিলেন আফতাব। তার পর তা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেন তিনি। এখনও পর্যন্ত শ্রদ্ধার সব দেহাংশের হদিস পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে আফতাবকে। তাঁকে জেরা করে আরও তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।