Shraddha Walkar Murder Case

শ্রদ্ধাকে অর্ধেক কেটে বিয়ার খেয়েছিলেন আফতাব, নেটফ্লিক্সে সিনেমাও দেখেন সে রাতে!

লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহ মোট ৩৫টি টুকরোয় ভাগ করেছিলেন বলে অভিযোগ আফতাবের বিরুদ্ধে। সে কথা তিনি স্বীকারও করে নিয়েছেন বলে পুলিশের দাবি। তদন্তে রোজই উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৫৯
প্রেমিকার দেহ অর্ধেক কেটে রেখে ‘বিশ্রাম’ নিয়েছিলেন আফতাব।

প্রেমিকার দেহ অর্ধেক কেটে রেখে ‘বিশ্রাম’ নিয়েছিলেন আফতাব। —ফাইল ছবি

প্রেমিকার দেহ অর্ধেক কেটে রেখে ‘বিশ্রাম’ নিয়েছিলেন দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা। পুলিশি জেরার মুখে নাকি তেমনটাই জানিয়েছেন তিনি। পুলিশকে তিনি নাকি এ-ও জানিয়েছেন, শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করে কাটতে বসে মাঝে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তখন বিয়ার খান, সুখটান দেন সিগারেটেও।

লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহ মোট ৩৫টি টুকরোয় ভাগ করেছিলেন বলে অভিযোগ আফতাবের বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, সে কথা তিনি স্বীকারও করে নিয়েছেন। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে আফতাবকে লাগাতার জেরা করে চলেছে দিল্লি পুলিশ। আর তাতেই উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য।

Advertisement

আফতাব পুলিশকে সেই ভয়াবহ রাতের বর্ণনা দিয়েছেন। পুলিশের দাবি, জেরায় তিনি জানিয়েছেন, শ্রদ্ধার দেহ পুরোপুরি কেটে ভাগ করতে তাঁর প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। মাঝে ক্লান্ত বোধ করায় কিছু ক্ষণের জন্য উঠেছিলেন। তখন বিয়ারের বোতল নিয়ে বসেন আফতাব। সঙ্গে ধূমপানও করেন। কেটে ফেলা দেহাংশগুলি জল দিয়ে ধুয়ে সাফ করতেও অনেক সময় লেগেছিল, পুলিশকে নাকি জানিয়েছেন অভিযুক্ত নিজেই।

শ্রদ্ধার দেহ পুরোপুরি কাটা হয়ে গেলে একটি অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থায় নাকি অর্ডারও দিয়েছিলেন আফতাব। খেতে খেতে নেটফ্লিক্সে সিনেমা দেখেছেন সেই রাতেই। জেরার মুখে আফতাবের বয়ান শুনে প্রেমিকাকে খুনের জন্য তাঁর কোনও রকম অনুশোচনা ছিল না বলেই মনে করছে পুলিশ।

শ্রদ্ধার দেহ কেটে টুকরো টুকরো করার পর রক্তে ভেসে গিয়েছিল গোটা ফ্ল্যাট। আফতাব পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি খুনের পর অনলাইনে অর্ডার দিয়ে একটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার কিনেছিলেন। সেই ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের বাক্স ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, মূলত রক্ত পরিষ্কার করার জন্যই ভ্যাকুয়াম ক্লিনার কিনেছিলেন আফতাব।

পুলিশের দাবি, শ্রদ্ধাকে গত ১৮ মে রাতে শ্বাসরোধ করে খুন করেন আফতাব। তার পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটেন। মোট ৩৫ টুকরো করার পর দেহাংশগুলি প্যাকেটে মুড়ে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন। প্রতি দিন রাতে একটি একটি করে টুকরো ফেলে আসতেন কাছের জঙ্গলে। সেই তদন্তে নতুন তথ্য হাতে পেল পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement