একনাথ শিন্ডে। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে বিজেপি-শিবসেনার অভ্যন্তরীণ চাপানউতর এ বার প্রকাশ্যে চলে এল। বুধবার শিবসেনার তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল, একনাথ শিন্ডেই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার। তাই উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব দেওয়া হলে তিনি তা গ্রহণ করবেন না।
শিবসেনা বিধায়ক সঞ্জয় শিরসাত ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে বলেন, “একনাথ শিন্ডের নামেই বিধানসভা নির্বাচনে লড়া হয়েছিল। তাই তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রত্যাবর্তনের দাবি রাখেন। শিন্ডে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করবেন না।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “যদি বিজেপি আমাদের দাবি (শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা) পূরণ করে, তবে জনগণের কাছে একটি ভাল বার্তা দেওয়া যাবে। শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলিতেও আমরা লাভবান হব।”
অন্য দিকে, বুধবারই দলের সাংসদ তথা মুখপাত্র নরেশ মাশকে বলেন, “আমরা উদ্ধব ঠাকরে নই যে, মুখ্যমন্ত্রী করা না-হলে জোট ছেড়ে দেব। যদি ‘মহাজুটির’ শরিক দলের সবাই দেবেন্দ্র ফডণবীসকে নেতা হিসাবে মেনে নেয়, তবে আমরাও তা মেনে নেব।”
প্রসঙ্গত, সোমবার ‘বিহার মডেলের’ প্রসঙ্গে এই নরেশই বলেছিলেন, ‘‘বিহারে যেমন বিজেপি আসনসংখ্যার দিকে না-তাকিয়ে নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল, তেমনই মহারাষ্ট্রেও শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত।’’ অর্থাৎ, জোটের ছোট শরিক হলেও মুখ্যমন্ত্রিত্ব তাদেরই দেওয়ার দাবি তোলে শিন্ডের দল। তার প্রত্যুত্তরে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রেম শুক্ল বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বিহারে ভোটের আগেই নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু মহারাষ্ট্রে আমরা এমন কোনও কথা দিইনি। তা ছাড়া মহারাষ্ট্রে আমাদের সাংগঠনিক ক্ষমতাও বেশি।”
তবে দুপুরে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস জানান, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা জোটের তিন শরিক দল একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে।