Shiv Sena Leader Shot Dead

রাজনৈতিক ক্ষমতা ‘দখলের’ লড়াই? ফেসবুক লাইভে মুম্বইয়ে উদ্ধবপন্থী নেতাকে খুন ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর

১০ ফেব্রুয়ারি অভিষেকের সঙ্গে নাসিকে একটি ধর্মীয় স্থানে যাওয়ার কথা ছিল মরিসের। ফেসবুক লাইভে সে কথা উল্লেখও করেছিলেন অভিষেক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:০৫
মরিস এবং অভিষেক (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

মরিস এবং অভিষেক (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলেই লড়াইয়ের জেরেই কি খুন হতে হল মুম্বইয়ে শিবসেনা নেতা অভিষেক গোসালকরকে? স্থানীয় বেশ কয়েকটি সূত্র অন্তত তেমনই দাবি করছে। বৃহস্পতিবার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী মরিস নরোনহোকে পাশে বসিয়ে ফেসবুক লাইভ করছিলেন অভিষেক। মরিসের অফিসে বসেই ফেসবুক লাইভ করছিলেন তিনি। আচমকাই সেই লাইভ থেকে সরে যান মরিস। অভিযোগ তার পরই অভিষেকের বুক, পেট লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালান তিনি। তার পর নিজের মাথাতেও গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন মরিস।

Advertisement

এই ঘটনার পর পরই মরিসের একটি ইনস্টগ্রাম পোস্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। গত ২৯ জানুয়ারির সেই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখা ছিল, “যে ব্যক্তি দুঃখ, যন্ত্রণা, অসম্মান, প্রত্যাখ্যান— কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করে না, তাঁকে তুমি হারাতে পারবে না। ১০ ফেব্রুয়ারি অভিষেকের সঙ্গে নাসিকে একটি ধর্মীয় স্থানে যাওয়ার কথা ছিল মরিসের। ফেসবুক লাইভে সে কথা উল্লেখও করেছিলেন অভিষেক।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিষেক উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা। তাঁর বাবা বিনোদ গোসালকর মুম্বই পুরনিগম কাউন্সিলর। অভিষেক এবং মরিসের অফিস পাশাপাশি। এলাকায় মরিস নরোনহা বেশি পরিচিত মরিস ‘ভাই’ নামেই। সমাজসেবামূলক কাজের জন্য জনপ্রিয়ও ছিলেন। সম্প্রতি আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস থেকে মুম্বইয়ে ফিরেছিলেন।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, আসন্ন পুরনিগম নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মরিস। কিন্তু তাঁর এই ইচ্ছার বিরোধিতা করেছিলেন অভিষেক। আর সেখান থেকেই নাকি দু’জনের সম্পর্কের টানাপড়েনের সূত্রপাত। এলাকায় রাজনৈতিক ক্ষমতা ‘দখলের’ বিষয় নিয়েও তাঁদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছিল বলে দাবি কয়েকটি সূত্রের। মুম্বইয়ের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মরিস নির্বাচনে লড়তে চেয়েছিলেন। ওই ওয়ার্ড থেকে অভিষেকও প্রার্থী হওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন। ফলে দু’জনের মধ্যে একটা ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’ চলছিল বলে দাবি স্থানীয় সূত্রের। তবে তার জেরেই কি খুন কি না সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ।

এই ঘটনায় মেহুল পারিখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় তিনি ছিলেন। জেরা করে পুলিশ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে, এই ঘটনায় তাঁর কোনও হাত ছিল কি না। শুধু তাই-ই নয়, এই খুনের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা-ও মেহুলকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন
Advertisement