Shashi Tharoor

‘রিং’য়ের পথে পা বাড়িয়ে দিলেন শশী তারুর, তুলে ফেললেন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র

কংগ্রেসের জি-২৩ গোষ্ঠী বা বিক্ষুব্ধ ২৩ জন নেতার মধ্যে অন্যতম তারুরই প্রথম যিনি রাহুল-সনিয়ার আড়াই দশক সভাপতিত্বের পর দলের ভার কাঁধে নিতে নির্বাচনে লড়ার পথে এক ধাপ এগোলেন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:৩২
কংগ্রেস সভাপতি পদে দৌড় শুরু তারুরের।

কংগ্রেস সভাপতি পদে দৌড় শুরু তারুরের। ফাইল ছবি।

পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি কে? লড়াইয়ের জল্পনায় একাধিক নাম সামনে এলেও, প্রতিযোগী হিসেবে প্রথম আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ শশী তারুরের। কেরলের সাংসদ শশী সভাপতি ভোটে লড়তে মনোনয়নপত্র তুলেছেন বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।

কংগ্রেসের জি-২৩ গোষ্ঠী বা বিক্ষুব্ধ ২৩ জন নেতার মধ্যে অন্যতম তারুরই প্রথম নেতা যিনি রাহুল-সনিয়ার আড়াই দশক সভাপতিত্বের পর দলের ভার কাঁধে নিতে নির্বাচনে লড়ার পথে প্রথম ধাপ এগোলেন। তবে লড়াই সহজ নয়। গান্ধী পরিবারের কেউ শেষ পর্যন্ত না লড়লে, তারুরের মূল প্রতিপক্ষ হতে চলেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ও গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অশোক গহলৌত।

Advertisement

সভাপতি পদের জন্য কোনও গান্ধীই প্রতিযোগিতায় নেই, কংগ্রেসের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। বর্তমানে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার নেতৃত্বে দিচ্ছেন রাহুল। তাঁকেই সভাপতি পদে বসার জন্য আবেদন-নিবেদনের পর্ব চলছে এখনও। এমনকি গহলৌত নিজে রাহুলকে পদে ফেরার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর কংগ্রেস সভাপতির পদ সেই যে ছেড়েছেন রাহুল, আর সেখানে ফিরতে চাননি তিনি। এক টানা ১৯ বছর সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করার পর ছেলে রাহুলের হাতে ভার সঁপেছিলেন সনিয়া। ঘটনাচক্রে, রাহুলের পদত্যাগের পর আবার সনিয়াকেই অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর ভার নিতে হয়। এখনও তিনি সেই পদই সামলাচ্ছেন। ১৭ অক্টোবর হবে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। প্রায় সিকি শতক পর এই প্রথম কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন এমন একজন, যাঁর পদবিতে গান্ধী নেই। সেই লড়াইয়ের জন্যই মনোনয়নপত্র তুলে নিজের দাবি জানিয়ে রাখলেন তারুর।

কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হবে আর কোন্দল হবে না, এমনটা হয় নাকি! সভাপতি পদের জন্য গহলৌত ও তারুরের লড়াই যখন প্রায় নিশ্চিত, ঠিক তখনই কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ খোলাখুলি ভাবে গহলৌতের সমর্থনে এগিয়ে আসেন। এহ বাহ্য, বৃহস্পতিবার গৌরব তীব্র কটাক্ষ করেন তারুরকে এবং তিনি যে গহলৌতকেই সমর্থন করছেন তা জানিয়ে দেন। তার পরেই নড়েচড়ে বসে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ নির্দেশিকা জারি করেন, দলের মুখপাত্ররা যেন সভাপতি পদপ্রার্থীদের নিয়ে কোনও কুকথা না বলেন।

আরও পড়ুন
Advertisement