ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে শহর দিল্লি। ছবি: পিটিআই।
বড়দিনের সকালেও ঘন ধোঁয়াশায় ঢাকল রাজধানী দিল্লি। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার কারণে বদলাল ২০টিরও বেশি ট্রেনের সময়সূচি। যার জেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
বুধবার ভোরে নয়াদিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রির কাছাকাছি। তবে শীত কমলেও বাতাসের গুণমানে বিশেষ হেরফের হয়নি। মৌসম ভবনের রিপোর্ট বলছে, বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৩৩৩, যা ‘খুব খারাপ’-এর পর্যায়ে পড়ে। আনন্দ বিহারে একিউআই ছিল ৩৬০, অশোক বিহারে ৩৭২, বাওয়ানায় ৩৬২ এবং মথুরা রোডে ৩২৪। ঘন ধোঁয়াশায় হ্রাস পেয়েছে দৃশ্যমানতাও। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ শহরের দৃশ্যমানতা ১০০ মিটারেরও নীচে নেমে গিয়েছে। যার জেরে মুম্বইগামী মুম্বই সেন্ট্রাল রাজধানী এক্সপ্রেস, হায়দরাবাদগামী দক্ষিণ এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়াও, সময়সূচি বদলাতে হয়েছে দুর্গ থেকে দিল্লিগামী দুর্গ-হজরত নিজ়ামউদ্দিন এক্সপ্রেস, দুরন্ত এক্সপ্রেস, জবলপুর-হজরত নিজামউদ্দিন গন্ডওয়ানা এক্সপ্রেসের। শুধু দূরপাল্লার ট্রেনগুলিই নয়, ব্যাহত হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবাও।
একই চিত্র উত্তরের অন্যান্য রাজ্যেও। হিমাচলের বেশির ভাগ জায়গায় ভারী তুষারপাতের জেরে ১৭৭টি সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎসংযোগ। তুষারপাতের বলি হয়েছেন অন্তত চার জন। বেশিরভাগ এলাকাতেই শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটকেরাও। হরিয়ানাতেও কোনও কোনও জায়গায় তাপমাত্রা শূন্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তার সঙ্গে রয়েছে কুয়াশার দাপট। একই চিত্র জম্মু-কাশ্মীরেও। সেখানে বহু জায়গায় হিমাঙ্কের অনেক নীচে নেমে গিয়েছে পারদ।