Train Accident

ফের রেল দুর্ঘটনা, অসমে বেলাইন মুম্বইগামী লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের ৮ কামরা, প্রশ্নের মু‌খে যাত্রী সুরক্ষা

আগরতলা থেকে মুম্বইয়ের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। বিকেল প্রায় ৪টে নাগাদ অসমের ডিবালং স্টেশনের কাছে বেলাইন হয়ে যায় ট্রেনের আটটি কামরা। হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও আতঙ্কিত হয়ে প়ড়েছেন যাত্রীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ২০:২৫
বৃহস্পতিবার বিকেলে অসমের ডিবালং স্টেশনের কাছে বেলাইন মুম্বইগামী লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস।

বৃহস্পতিবার বিকেলে অসমের ডিবালং স্টেশনের কাছে বেলাইন মুম্বইগামী লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস। ছবি: পিটিআই।

ফের রেল দুর্ঘটনা অসমে। বেলাইন হয়ে গিয়েছে আগরতলা থেকে মুম্বইগামী লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বিকেল ৩টে ৫৫মিনিট নাগাদ। অসমের লুমডিং শাখায় ডিবালং স্টেশনের কাছে বেলাইন হয় কামরাগুলি। কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছেন রেলের আধিকারিকেরা। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইঞ্জিন, পাওয়ার কার-সহ ট্রেনের আটটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। যদিও দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে আগরতলা থেকে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি। অসমের লামডিং এবং বদরপুরের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে। রেল আধিকারিকেরা জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য একটি এক লামডিং থেকে একটি ট্রেন রওনা দেয় দুর্ঘটনাস্থলের দিকে। রেলের বরিষ্ঠ আধিকারিকেরাও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তাঁরা উদ্ধারকাজের তদারকি করছেন। দুর্ঘটনার পর অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। যাত্রীরা সকলেই নিরাপদেই রয়েছেন।

দুর্ঘটনার পর আপাতত লামডিং-বদরপুর শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রেলের তরফে লামডিং স্টেশনে দু’টি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। নম্বরগুলি হল— ০৩৬৭৪২৬৩১২০ এবং ০৩৬৭৪২৬৩১২৬।

বৃহস্পতিবারের এই দুর্ঘটনার পর আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে। সাম্প্রতিক কালে যে ভাবে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাতে সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে। গত ১১ অক্টোবরই তামিলনাড়ুর কাবারাপেত্তাইয়ে মালগাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল একটি দূরপাল্লার ট্রেন। ১২টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল। যাত্রীদের কেউ গুরুতর আহত হননি সেই বারও। তবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন রেলযাত্রীরা।

আরও পড়ুন
Advertisement