Jammu and Kashmir Terror Attack

পুঞ্চের পর কাঠুয়া, রবিবার জম্মু-কাশ্মীরে জোড়া সংঘর্ষ, সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত উপত্যকা

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বানি এলাকায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনা। তল্লাশি অভিযানের সময়ই জঙ্গলের মধ্যে দু’পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৬
Security forces and terrorists exchange fire in Kathua

সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই। —ফাইল চিত্র।

জম্মু-কাশ্মীরে রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে জঙ্গি এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াই। সকালে কাশ্মীরের পুঞ্চে চলেছিল গোলাগুলি, বিকেলে কাঠুয়া জেলায়। ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, কাঠুয়া জেলার বানি এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিত থাকার খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সে সময়ই জঙ্গিদের দিক থেকে ধেয়ে আসে গুলি। পাল্টা জবাব দেন জওয়ানেরাও।

Advertisement

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বানি এলাকায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনা। তল্লাশি অভিযানের সময়ই জঙ্গলের মধ্যে দু’পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়। ভারতীয় সেনার দেওয়ার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষই কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। রবিবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, কোনও তরফে হতাহতের খবর মেলেনি।

উল্লেখ্য, রবিবার সকালে ভারতীয় সেনার জওয়ানেরা কাশ্মীরের পুঞ্চে একটি গ্রাম ঘিরে ফেলেছেন। ভিতরে তিন জন জঙ্গি আটকে পড়েছে। সূত্রের খবর, তাদের মধ্যে জঙ্গিগোষ্ঠীর এক শীর্ষনেতাও রয়েছে। যদিও বিকেল পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। শনিবার কাশ্মীরের বারামুলা জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষ হয় সেনার। তাদের গুলিতে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। কিস্তওয়ারে পৃথক সংঘর্ষে দু’জন সেনা জওয়ানেরও প্রাণ গিয়েছে।

আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন। তিন দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ১৮ তারিখের পর ভোট রয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। ভোটগণনা হবে ৮ অক্টোবর। জম্মু ও কাশ্মীরে শেষ বার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। দীর্ঘ ১০ বছর পর আবার সেখানে ভোট হতে চলেছে। তার আগে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতি দিনই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও চলছে। সতর্ক রয়েছে সেনাবাহিনী। তবে পর পর জঙ্গি হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement