প্রতীকী ছবি।
দিল্লিতে গোষ্ঠীহিংসার সময় উস্কানিমূলক পোস্ট সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহিতে বাধ্য করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০২০ সালের হিংসা-পর্বে উস্কানিমূলক পোস্ট ঠেকাতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কিছু করেছিলেন কি না, তা জানতে সংস্থার ভারতীয় শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট অজিত মোহনকে তলব করেছিল দিল্লি বিধানসভার শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা বিষয়ক কমিটি। সেই পদক্ষেপকে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অজিত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কল, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ বলেছে, দিল্লি বিধানসভার কমিটি ফেসবুক কর্তাকে তলব করে তাঁর কাছে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইতে পারে। কিন্তু দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই ফেসবুককে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রশ্নে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা যাবে না। প্রয়োজন মনে করলে ফেসবুক প্রতিনিধি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব। তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করা হলে তা কেন্দ্রীয় আইন লঙ্ঘন হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, গত বছর দিল্লি বিধানসভার শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাঘব চাড্ডা দিল্লি হিংসা-পর্ব নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অজিতকে তলব করেছিলেন। কিন্তু তিনি যাননি। ফেসবুক আধিকারিকের যুক্তি ছিল, তিনি আগে সংসদীয় কমিটির কাছে বক্তব্য পেশ করেছেন। তা ছাড়া দিল্লির আইন-শৃঙ্ঘলার বিষয়টি কেন্দ্রের এক্তিয়ারভুক্ত হওয়ায় দিল্লি বিধানসভার পদক্ষেপ ‘অধিকার বহির্ভূত’ বলেও দাবি করেছিলেন অজিত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কার্যত সেই যুক্তি মেনে নিয়েছে। যদিও ফেসবুকের তরফে হাজিরা এড়ানোর যে আবেদন জানানো হয়েছিল তা খারিজ করেছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ।