Bangladesh Crisis

বাংলাদেশে ভারতীয়দের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে কেন্দ্র, প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ: জয়শঙ্কর

সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সেখানে ১০ হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলেছেন জয়শঙ্কর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ১৪:২৫
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশে ভারতীয়দের পরিস্থিতি কী, সে দিকে নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হয়েছে। দিল্লিতে সর্বদল বৈঠকে এমনটাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে এখনই ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে আনা হচ্ছে না। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে সরকার। প্রয়োজন হলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলেছেন জয়শঙ্কর। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আপাতত তাঁদের বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে আনা হবে না। তবে ভারত যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকবে। প্রয়োজন হলেই দ্রুত যাতে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে আনা যায়, সেই বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতির দিকেও নজর রয়েছে ভারতের। তবে সূত্রের খবর, জয়শঙ্কর সর্বদল বৈঠকে জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি ‘তেমন গুরুতর নয়’। তিনি বলেছেন, ‘‘যে পরিস্থিতি বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে, তার দিকে আমরা নজর রাখছি। সঠিক সময় এলে ভারত সরকার সঠিক পদক্ষেপ করবে।’’

বৈঠকে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন হাসিনার কথাও। তাঁর বক্তব্য, হাসিনা এই মুহূর্তে রয়েছেন দিল্লিতে। তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তাই তাঁকে বেশ কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে। হাসিনা নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা এখনও ভারত সরকারকে জানাননি। সময় নিয়ে তিনি সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ভারত সরকার তাঁর বক্তব্য শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে।

পিটিআই জানিয়েছে, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত সমস্ত দলই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত হয়েছে। এ বিষয়ে তারা কেন্দ্রের পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে রাহুল গান্ধীও একই অবস্থান নিয়েছেন।

হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পর বাংলাদেশের ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর হাতে। সেনার নেতৃত্বে সেখানে তদারকি সরকার গঠিত হবে। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে প্রবাসী ভারতীয়দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই কেন্দ্রের লক্ষ্য, জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।

উল্লেখ্য, সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন হাসিনা। তিনি বিমানে উড়ে এসেছেন ভারতে। গাজ়িয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে নেমেছিলেন হাসিনা। রাতে সেখানেই ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে তিনি দি্ল্লিতে আছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement