India-US Relationship

জয়শঙ্করের মুখে সৌজন্য ও খাতির

প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের ‘বন্ধুত্বের’ ভিত যে আগামিদিনে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাথেয় হবে, তা-ও বুঝিয়ে দিলেন ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আশঙ্কার মেঘকে বছরের শুরুতে লঘু করে দেখানোই তাঁর উদ্দেশ্য বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:০৮
এস জয়শঙ্কর।

এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের প্রথম সারিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে জায়গা দেওয়ার বিষয়টিকে ‘এক উল্লেখযোগ্য সৌজন্য’ হিসাবে বর্ণনা করে এস জয়শঙ্কর ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদেরই প্রচার করলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের ‘বন্ধুত্বের’ ভিত যে আগামিদিনে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাথেয় হবে, তা-ও বুঝিয়ে দিলেন ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আশঙ্কার মেঘকে বছরের শুরুতে লঘু করে দেখানোই তাঁর উদ্দেশ্য বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। প্রথম সারিতে বসার সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ দূতকে স্বাভাবিক ভাবেই খুব খাতির করা হয়েছে।”

Advertisement

জয়শঙ্করের কথায়, “এটা খুবই স্পষ্ট যে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে। যদি সামগ্রিক ভাবে আমার এই অভিজ্ঞতাকে (ট্রাম্পের শপথ) ভাগ করে নিতে হয়, তা হলে বলব ট্রাম্প প্রশাসন উদগ্রীব ছিল, যাতে উদ্বোধনী এই অনুষ্ঠানে ভারত উপস্থিত থাকে। দ্বিতীয়ত সমস্ত বৈঠকের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে তারা চাইছে সম্পর্কের এক জোরালো ভিত গড়তে। ট্রাম্প সরকারের প্রথম দফা এই ভিত গড়ায় অনেকটাই ভূমিকা নিয়েছিল।” মোদী আর ট্রাম্পের সখ্যকে তুলে ধরতে চেয়ে
বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একযোগে অনেক বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন। আমরা দেখেওছি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা পরিণতি পেয়েছে। পাশাপাশি কোয়াড বৈঠকের পর এটাই বলার, আমেরিকার বর্তমান প্রশাসন আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। চার দেশের সহযোগিতা আরও গভীর হবে।”

তাঁর তিন দিনের ওয়াশিংটন সফরে জয়শঙ্কর ধারাবাহিক ভাবে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে গিয়েছেন। তিনি দেখা করেছেন আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এবং সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ়-এর সঙ্গে। পাশাপাশি কোয়াডের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকেও যোগ দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, “প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর একেবারে গোড়াতেই প্রধানমন্ত্রী মোদী ফোন করে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। আমি গত মাসে এসেছিলাম এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে প্রাথমিক সংযোগ তৈরি করা হয়েছিল। ফলে সম্পর্ক কোন দিকে যাচ্ছে, তার একটা অভিমুখ আপনারা পাচ্ছেন।”

Advertisement
আরও পড়ুন