প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইস্তক এক দিনও ছুটি নেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) আনা এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকে প্রতি দিনই কাজ করেছেন মোদী।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে ২০১৪-র জুন মাসে মোদী তাঁর মন্ত্রীদের আচরণবিধি সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, স্বচ্ছ ও দক্ষ সরকারের যে কথা তিনি ভোটের আগে দিয়েছিলেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চান। পরিবারের কাউকে ব্যক্তিগত সচিব না করা, নিয়মিত সম্পত্তির হিসাব দাখিল করার পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ছুটি না নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সে সময় তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘‘মানসিকতা পাল্টান। সামনে কাজ অনেক। যে জনমত নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে, সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য শুধু কাজেই মনোনিবেশ করতে হবে।’’ আরটিআর-প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, এ ক্ষেত্রে ‘আপনি আচরি ধর্ম’ নীতি অনুসরণ করেছেন মোদী। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লোকসভায় অনাস্থা বিতর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, মোদী কোনও ছুটি না নিয়ে দিনের মধ্যে ১৭ ঘণ্টা কাজ করেন।
তবে সাড়ে ন’বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বে মোদীর এক দিনও ছুটি না নেওয়ার ‘তথ্য’ নিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছে বিরোধীদের একাংশ। কেদারনাথের গুহায় ধ্যান থেকে উত্তরাখণ্ডের জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে বেয়ার গ্রিলসের টিভি শোতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতি তাঁর সরকারি বা দলীয় কর্মসূচির অঙ্গ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।