—ফাইল চিত্র।
ভোটের ছত্তীসগঢ়ে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর অঙ্ক নিয়ে প্রতিযেগিতা শুরু হয়ে গেল কংগ্রেস ও বিজেপির। কংগ্রেসকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া বিজেপি আগেই তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে ঘোষণা করেছে, গেরুয়া শিবিরের সরকার হলে রাজ্যের প্রত্যেক বিবাহিত মহিলাকে বছরে ১২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। রবিবার রাজ্যের রাজধানী রায়পুরের নির্বাচনী সভা থেকে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তারা ফের কুর্সিতে ফিরলে রাজ্যের সব মহিলাকে বছরে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। প্রকল্পের নাম হবে ‘ছত্তীসগঢ় গৃহলক্ষ্মী যোজনা’।
বিজেপি বলেছিল, কেবল বিবাহিত মহিলাদের টাকা দেবে। কংগ্রেস সেই পরিসরকে বাড়িয়ে সব মহিলাদের জন্য টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রবিবার বাঘেল বলেন, ‘‘কংগ্রেস মহিলাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। তাঁরা যাতে মাসে মাসে সরকারি অনুদান পান, সে ব্যাপারে নতুন সরকার প্রথম দিন থেকেই কাজ করবে।’’ পাল্টা বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, ক্রমশ ভিত আলগা হচ্ছে বুঝতে পেরে কংগ্রেস এখন প্রলোভন দেখাতে নেমেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বাংলার বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম মহিলাদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তৃতীয় বার সরকারে ফেরার পর তা তিনি বাস্তবায়িতও করেছেন। দিদি সেই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। শেষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের পর এই প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা দু’কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। মমতার ওই মডেল প্রশ্নাতীত সাফল্য পাওয়ার পর বিভিন্ন দল, বিভিন্ন রাজ্যে সেই পথে হেঁটেছে। গত কর্নাটক বিধানসভা ভোটেও কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ মডেল।
ছত্তীসগঢ় বিধানসভায় মোট আসন ৯০টি। গত ৭ নভেম্বর মাওবাদী প্রভাবিত ২০টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর বাকি ৭০টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ফল ঘোষণা হবে ৩ ডিসেম্বর।