এই ভিডিয়ো দেখে টুইট করেছেন আইপিএস অফিসারও। ছবি- সংগৃহীত।
বহুতল আবাসনের ১১ তলায় বসবাস পরিবারের। বারান্দায় শুকোতে দেওয়া জামা-কাপড় পড়ে গিয়েছিল ১০ তলার কার্নিসে। তাই ছোট্ট ছেলেকে তা তুলে আনতে পাঠালেন মা। শাড়ি পেঁচিয়ে তিনি নীচে ফেললেন। সেটা বেয়ে বেয়ে নামল ছেলে। পড়ে যাওয়া জামা-কাপড় নিয়ে আবার ওই ভাবে ১১ তলায় উঠে এল সে। শুধু জামা-কাপড় তুলে আনতে ছোট্ট ছেলেকে দিয়ে কী ভাবে এমন ঝুঁকির কাজ করালেন মা! নিন্দার ঝড় নেটমাধ্যমে, প্রশ্ন উঠেছে মায়ের সংবেদনশীলতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে।
Appalled to see this video of a mother from #Faridabad!
— Dipanshu Kabra (@ipskabra) February 11, 2022
Heights of carelessness, insensitivity & irresponsibility.
She has no right to risk her kid's life. pic.twitter.com/uNj362e9UO
ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮২-এর ‘ফ্লোরিডা’ নামে একটি আবাসনে। ওই আবাসনের বিপরীত থেকে তোলা একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, ১০ তলার রেলিং ঘেরা বারান্দায় শাড়ি বেয়ে নামছে একটি খুদে। সেই শাড়ি ধরে রয়েছেন তাঁর মা ও ঠাকুমা। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিবারের বাকি সদস্যরা।
ভিডিয়োটি জুম করার পর দেখা যায় ওই আবাসনের উচ্চতা। কোনও ভাবে যদি শাড়ি থেকে হাত ফসকে যেত ছেলেটির তা হলে কী হত? এই ভিডিয়ো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটাগরিকরা। কেউ দুষেছেন মা ও ঠাকুমাকে। কেউ আবার লিখেছেন, ভিডিয়ো করার চেয়ে প্রতিবেশীরা যদি এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বাধা দিতেন, সেটা কাজের হত।
ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন এক আইপিএস অফিসার। তিনি ওই মায়ের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ভিডিয়োর সূত্র ধরে আবাসনে যায় সংবাদমাধ্যম। সেখানকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন ঘটনাটি গত ৬ ফেব্রুয়ারির। তাঁরা দাবি করেছেন, ভাইরাল ভিডিয়োর ওই মহিলার সঙ্গে প্রতিবেশীদের তেমন আলাপ পরিচয় নেই। আর তিনি সাহায্যের জন্যও কাউকে ডাকেননি। কিন্তু যে ভাবে ছেলেকে দিয়ে এমন ঝুঁকির কাজ করালেন তাতে আবাসন কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে।