জয়ের আনন্দ: দিল্লিতে কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে উচ্ছ্বাস নেতাকর্মীদের। ছবি: পিটিআই।
পশ্চিমবঙ্গের চারটি বিধানসভা-সহ দেশের সাতটি রাজ্যের ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ধাক্কা খেল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। এর মধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ, ডিএমকে-সহ ‘ইন্ডিয়া’র শরিকেরা মোট ১০টিতে জিতেছেন। বিজেপি মাত্র দু’টি! বিহারের একটি আসনে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী।
পশ্চিমবঙ্গে উপনির্বাচনে তিনটি আসন বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে। রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং মানিকতলার উপনির্বাচনে জিতেছে তৃণমূল। অথচ ২০২১-এর নীলবাড়ির লড়াইয়ে এর মধ্যে প্রথম তিনটি ছিল বিজেপি দখলে। পাশাপাশি দেশের আরও ছ’টি রাজ্যের যে ন’টি বিধানসভায় ভোট হয়েছিল, তার মধ্যে হিমাচলের হামিরপুরে বিজেপি জিতেছে। দেহরায় জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী তথা সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর স্ত্রী কমলেশ। নালাগড়েও জয়ী কংগ্রেস।
উত্তরাখণ্ডের দু’টি আসন, বদ্রীনাথ এবং মঙ্গলৌরও মল্লিকার্জুন খড়্গে-রাহুল গান্ধীর দলের দখলে। লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা এবং ইলাহাবাদে (বর্তমান নাম প্রয়াগরাজ) হারার পরে এ বার উত্তরাখণ্ডের তীর্থক্ষেত্র বদ্রীনাথেও ধারাশায়ী পদ্ম। পঞ্জাবের জালন্ধর পশ্চিম বিধানসভায় আম আদমি পার্টি (আপ) এবং তামিলনাড়ুর বিক্রবন্দীতে ডিএমকে জিতেছে। মধ্যপ্রদেশের অমরওয়াড়ায় জিতেছে বিজেপি।
হিমাচল প্রদেশের দেহরা, হামিরপুর এবং নালাগড়ের তিন নির্দল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে জনপ্রতিনিধিত্ব সংশোধনী আইন মেনে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাই সেখানে ভোট হয়েছে। বিহারের রুপৌলীর জেডিইউ বিধায়ক বিমা দেবী আরজেডিতে যোগ দেওয়ায় এবং মধ্যপ্রদেশের অমরওয়াড়ার কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ প্রতাপ শাহ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সেখানে আবার ভোট হয়েছিল।
উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথের কংগ্রেস বিধায়ক রাজেন্দ্র সিংহ ভান্ডারি ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ওই আসনে উপনির্বাচনে হয়েছিল। ওই রাজ্যের মঙ্গলৌরে বিএসপি বিধায়কের মৃত্যুর কারণে উপনির্বাচন হয়েছে। তামিলনাড়ুর বিক্রবন্দীতে ডিএমকে বিধায়কের মৃত্যু এবং পঞ্জাবের জালন্ধর পশ্চিমে আপ বিধায়ক শীতল অঙ্গুরল রিঙ্কুর বিজেপিতে যোগদানের ফলে উপনির্বাচন হয়েছিল গত বুধবার। এ বার ভোটে রাজেন্দ্র এবং রিঙ্কু লড়ছিলেন বিজেপির টিকিটে। দু’জনেই হেরেছেন। তবে মধ্যপ্রদেশের দলবদলু কমলেশ জিতেছেন তিন হাজার ভোটে।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের সাতটি রাজ্যের ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ধাক্কা খেল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। এর মধ্যে জেতা এবং এগিয়ে থাকার হিসাবে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ, ডিএমকে-সহ ‘ইন্ডিয়া’র শরিকেরা ১০টি পেতে চলেছে। বিজেপি মাত্র দু’টি!
পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং মানিকতলার উপনির্বাচনে জিতেছে তৃণমূল। অথচ ২০২১-এর নীলবাড়ির লড়াইয়ে এর মধ্যে প্রথম তিনটি ছিল বিজেপি দখলে। পাশাপাশি দেশের আরও ছ’টি রাজ্যের যে ন’টি বিধানসভায় ভোট হয়েছিল, তার মধ্যে হিমাচলের হামিরপুরে বিজেপি জিতছে। নির্দল প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন বিহারের রুপৌলিতে।
কংগ্রেস হিমাচলের দু’টি আসনে জিতেছে। উত্তরাখণ্ডের দু’টি আসনেও তারা এগিয়ে। পঞ্জাবে একটি বিধানসভায় আম আদমি পার্টি এবং তামিলনাড়ুর একটিতে ডিএমকে জিতেছে। মধ্যপ্রদেশের অমরওয়াড়ায় চলছে কাঁটে কা টক্কর। সেখানে এক হাজারেরও কম ভোটে কংগ্রেসের চেয়ে এগিয়ে বিজেপি।
হিমাচলের হামিরপুর বিধানসভা আসনে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী আশিস শর্মা। কংগ্রেসের পুষ্পেন্দ্র বর্মাকে দেড় হাজার ভোটে হারালেন তিনি। ২০২২ সালের বিধানসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন আশিস। সম্প্রতি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ওই আসনে উপনির্বাচন হয়েছিল।
পঞ্জাবের জালন্ধর পশ্চিমে বিজেপির শীতল অঙ্গুরল রিঙ্কুকে হারিয়ে জয়ী হলেন আম আদমি পার্টির প্রার্থী মহিন্দর ভগত। ব্যবধান প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার ভোটের। ২০২২ সালে জয়ী আপ প্রার্থী রিঙ্কুর বিজেপিতে যোগদানের ফলে উপনির্বাচন হয়েছিল বুধবার। এ বার ভোটে রিঙ্কু লড়ছিলেন বিজেপির টিকিটে।
বিহারের রুপৌলি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আরজেডি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিধায়ক বীমা ভারতী। সেখানে এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর প্রার্থী। দ্বিতীয় স্থানে নির্দল। ২০২০ সালে বিহারের বিধানসভা ভোটে ওই আসন থেকে জেডিইউ প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন বীমা। চলতি বছরের গোড়ায় বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে তেজস্বী যাদবের উপস্থিতিতে আরজেডিতে যোগ দেন। লোকসভা ভোটে তেজস্বী কংগ্রেস নেতা পাপ্পু যাদবকে কোণঠাসা করতে পূর্ণিয়া আসনে বীমাকে প্রার্থী করেছিলেন। কিন্তু তিনি তৃতীয় হন। নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়ে জেতেন পাপ্পু। দ্বিতীয় হন জেডিইউ প্রার্থী।
হিমাচল প্রদেশের দেহরা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হোশিয়ার সিংহের তুলনায় সাত হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর স্ত্রী কমলেশ ঠাকুর। ২০২২ সালের বিধানসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে জিতেছিলেন হোশিয়ার। গত বছর বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ওই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথের কংগ্রেস বিধায়ক রাজেন্দ্র সিংহ ভান্ডারি ইস্তফা দিয়ে ওই আসনে উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। ওই রাজ্যের মঙ্গলৌরে বিএসপি বিধায়কের মৃত্যুর কারণে উপনির্বাচন হচ্ছে। তামিলনাড়ুর বিক্রবন্দীতে ডিএমকে বিধায়কের মৃত্যু এবং পঞ্জাবের জালন্ধর পশ্চিমে আপ বিধায়ক শীতল অঙ্গুরল রিঙ্কুর বিজেপিতে যোগদানের ফলে উপনির্বাচন হচ্ছে বুধবার। এ বার ভোটে রিঙ্কু লড়ছেন বিজেপির টিকিটে।
হিমাচল প্রদেশের দেহরা, হামিরপুর এবং নালাগড়ের তিন নির্দল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে জনপ্রতিনিধিত্ব সংশোধনী আইন মেনে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাই সেখানে ভোট হয়েছে। দেহরায় কংগ্রেস প্রার্থী করেছে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর স্ত্রী কমলেশকে। বিহারের রুপৌলীর জেডিইউ বিধায়ক বিমা দেবী আরজেডিতে যোগ দেওয়ায় এবং মধ্যপ্রদেশের অমরওয়াড়ার কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ প্রতাপ শাহ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সেখানে আবার ভোট।
বাংলার পাশাপাশি দেশের অন্য ছ’টি রাজ্যেও বিধানসভা উপনির্বাচনে ধাক্কা খেতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। এগিয়ে কংগ্রেস-সহ ‘ইন্ডিয়া’র শরিকেরা। পশ্চিমবঙ্গের চারটি বিধানসভার পাশাপাশি দেশের আরও ছ’টি রাজ্যের যে ন’টি বিধানসভায় ভোট হয়েছিল, তার মধ্যে বিজেপি একটি এবং তার জোটসঙ্গী জেডি(ইউ) একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস পাঁচটি এবং আম আদমি পার্টি একটিতে এগিয়ে। হিমাচলের হামিরপুর এবং রুপৌলিতে এগিয়ে বিজেপি এবং জেডিইউ। অর্থাৎ, বঙ্গে তৃণমূলের চারটি আসন ধরলে ১৩টির মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র ঝুলিতে মাত্র দু’টি আসন আসতে চলেছে।
পশ্চিমবঙ্গের চারটি বিধানসভার পাশাপাশি গত বুধবার দেশের আরও ছ’টি রাজ্যের যে ন’টি বিধানসভায় ভোট হয়েছিল। তার মধ্যে বিজেপি একটি এবং তার সহযোগী জেডিইউ একটিতে এগিয়ে।