গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ। ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্র ফের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেবে কি না, তা নিয়ে ফের জল্পনা জাতীয় রাজনীতিতে। সৌজন্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সর্বদল বৈঠক।
কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ওই সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন। উপত্যকার নেতারাও ডাক পেয়েছেন ওই বৈঠকে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি শনিবার এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছি এবং আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি’।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভায় ‘জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল’ পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ‘‘যখন কাশ্মীর বিভক্ত করা হয়েছিল, তখন কোথাও লেখা ছিল না যে ভূস্বর্গ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না। সঠিক সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে।’’ এর পরেই জল্পনা দানা বাঁধে, উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে কৌশল বদলাতে পারে কেন্দ্র। চলতি মাসে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস যদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে। এরপর বিজেপি-র তরফে কংগ্রেসের সঙ্গে পাকিস্তানের গোপন আঁতাতের অভিযোগ তোলা হয়। যদিও জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা দিগ্বিজয়ের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
২০১৯ সালের অগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জন্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনে লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর নামে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়া হয়। যদিও দিল্লি এবং পুদুচেরির মতো কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরেও বিধানসভা রাখার কথা বলা হয়েছে ওই আইনে। আগামী নভেম্বরে সেখানে বিধানসভা ভোট হতে পারে বলে সরকারের একটি সূত্রের খবর। এই সূত্র জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবারের সর্বদল বৈঠকে এখনও পর্যন্ত ৯টি দল আমন্ত্রণ পেয়েছে। মোট ১৬টি দলের নেতারা ডাক পেতে পারেন।