UP Murder

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহ, মহিলাকে খুন করে ভাগাড়ে পুঁতে দেওয়া হয়, এক বছর পর দেহাংশ উদ্ধার

পুলিশ জানিয়েছে, জেরার সময় কামিল জানিয়েছেন, আসিফার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল, এই সন্দেহে তাঁকে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর ভাই আদিল এবং কাকিমার সঙ্গে মিলে শ্বাসরোধ করে খুন করেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১৬
ভাগাড় থেকে মহিলার দেহাংশ উদ্ধার। প্রতীকী ছবি।

ভাগাড় থেকে মহিলার দেহাংশ উদ্ধার। প্রতীকী ছবি।

ভাগাড় থেকে এক মহিলার কঙ্কাল উদ্ধার হল উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, এক বছর আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন মহিলা। একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু মহিলার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে শনিবার তাঁর শ্বশুরবাড়ির কাছেই একটি ভাগাড় থেকে কঙ্কাল উদ্ধার হয় তাঁর।

Advertisement

মহিলার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃতার নাম আসিফা। কামিল নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান আসিফা। তখন তাঁর পরিবার বার বার যোগোযাগের চেষ্টা করেও আসিফার হদিস না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন।

গত ২৬ মার্চ আসিফার মা চাঁদপুর থানায় আবার অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আসিফার সঙ্গে তাঁদের কথা বলতে দিচ্ছেন না। তার পরই পুলিশ আসিফার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাঁর স্বামী কামিল এবং ভাই আদিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁদের কথায় অসঙ্গতি লক্ষ করায় সন্দেহ হয় পুলিশের। তার পরই তাঁদের গ্রেফতার করে জেরা করতেই খুনের কথা স্বীকার করেন বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

সার্কল অফিসার ভরত সোনকর জানিয়েছেন, জেরার সময় কামিল জানিয়েছেন, আসিফার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল, এই সন্দেহে তাঁকে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর ভাই আদিল এবং কাকিমার সঙ্গে মিলে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তার পর তাঁর দেহ ভাগাড়ে পুঁতে দিয়ে আসেন। শনিবার আসিফার দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। কামিল এবং আদিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাকিমা পলাতক।

Advertisement
আরও পড়ুন